। রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলি পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএম) শ্রমিক কর্মচারীদের এক কর্পোরশন ও এক কমিশন সহ বিভিন্ন দাবীতে গেইট মিটিং করেছে কেপিএম শ্রমিকরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৭ টায় কেপিএম শ্রমিক- কর্মচারী পরিষদ ( সিবিএ) এর আয়োজনে মিলের ১ নং গেইটে এ গেইট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় কেপিএম শ্রমিক – কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গেইট মিটিং এ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিবিএ সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জহির, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ, অস্থায়ী শ্রমিক মোঃ শহীদ সহ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কেপিএম কারখানা প্রায় ১ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে। তাই এই কেপিএম কারখানাকে পূর্বের ন্যায় সচল করতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীদের এক কর্পোরেশনে এক বেতন কমিশন ঘোষণা না করলে দুই শ্রমিকের মাঝে বৈষম্যা তৈরী হচ্ছে। এই বৈষম্য দুর করতে সরকারের নিকট দাবী জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো দাবী জানান, সরকার ২০২৩ সালের জুলাই হতে কর্মচারীদের ৫% বিশেষ সুবিধা দিয়েছে এবং ২০২৫ সালের জুলাই হতে মুল বেতনের ১৫% হারে সরকার কর্মচারীদের যেই সুবিধা দিয়েছে, সেই সুবিধা কর্মচারীদের ন্যায় শ্রমিকদেরকেও প্রদান হবে।
বক্তব্যে আরোও বলেন, কারখানায় কর্মরত পে কমিশনভুক্ত শ্রমিকদের কর্মচারীদের ন্যায় উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। শ্রমিক কর্মচারীর নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালায় সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করে অবিলম্বে তাদের পদোন্নতি করতে হবে।
কারখানায় কর্মরত অস্থায়ী/ আউট সোসিং শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত বর্ধিত হারে নায্য মজুরি প্রদান করতে হবে। যখন দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয় তখন সরকারি, বেসরকারি এবং রাষ্টায়িত প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য সরকার মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতো এবং সেই মহার্ঘ্য ভাতা পরবর্তী শ্রমিকদেরও প্রদান করতো। কিন্তু বিগত ২৩ সাল এই মহার্ঘ্য ভাতা শ্রমিকরা পাচ্ছে না। এই মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে।

