\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে স্থাপিত প্রথম বৌদ্ধ বিহার লেক্ষ্যুং ছড়া এলাকায় বন্দুকভাঙ্গা ধর্ম্মোদয় বৌদ্ধ বিহারে ৪০তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে দুপুরে ভিক্ষু সংঘের সমীপে কঠিন চীবর হস্তান্তর করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইন্দ্র কুমার চাকমা।
দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসবকে ঘিরে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত পূণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। দুপুরে কঠিন চীবর ও কল্পতরু পুরো বিহারের প্রাঙ্গণে প্রদক্ষিণ করে ধর্মীয় শোভাযাত্রা করা হয়। বুদ্ধমূর্তিদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর উৎসর্গ, পঞ্চশীল প্রার্থনা, হাজার প্রদীপ দান, মঙ্গল সূত্রপাঠ, কল্পতরু উৎসর্গ, ধর্ম দেশনা ও আকাশ প্রদীপ উৎসর্গসহ নানাবিধ দান করা হয়।
ধর্ম দেশনা দেন সংঘরাম বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রদ্ধালঙ্কার মহাথের, মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত পূন্যজ্যোতি মহাথের, আনন্দ বিহারের অধ্যক্ষ বিমল জ্যোতি মহাথের। এসময় লেক্ষ্যুং ছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ বনজ্যোতি মহাথের, কঠিন চীবর উদযাপন কমিটির ঈশ্বন্তর চাকমা, সমির চাকমা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্রোতাপর্ণা চাকমা ও জ্যাসান চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কঠিন চীবর উদযাপন কমিটির আহŸায়ক সুচিত্র চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন অমলেন্দু চাকমা।
গৌতম বুদ্ধের সময়কালে তার প্রধান সেবিকা বিশাখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কেটে রং করে কাপড় বুনে সেলাই করে ভগবান বুদ্ধকে দান করেন। বিশাখার এই প্রবর্তিত কঠিন চীবর দানের স্মৃতিদ ধর্মীয় ভাব মর্যাদায় প্রতিবছর সারাদেশে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপন করে থাকে।

