জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সুদৃঢ় হবে – পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

রাঙ্গামাটি

\ নিজস্ব প্রতিবেদক \

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সুদৃঢ় হবে এবং এটি হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য দরকার সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এটাকে ফাটল ধরানো যাবে না। বর্তমানে পাহাড়ে পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছে এবং এটাই হওয়া দরকার।

শুক্রবার ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটি শহরের রাঙাপানি মিলন বিহারে জাতীয় কঠিন দানোৎসবের দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন বেইন বুনন কার্যক্রম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

এ সময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য উপদেষ্টা সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, জাতীয় কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক রনজ্যোতি চাকমা, রাঙাপানির প্রবীন ব্যক্তিত্ব সংগীত শিল্পী রনজিত দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বৌদ্ধ ধমীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পাহাড় ও সমতলের সকল বৌদ্ধদের নিয়ে আয়োজিত প্রথম সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসব ২০২৫ একটি ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান হবে যা পাহাড় ও সমতলের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করবে।

অনুষ্ঠানে আকাশ প্রদীপ দানোৎসর্গ, প্রজ্জ্বলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় করণীয় মৈত্রী সুত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয় দিনের মুল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

জাতীয় কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে ৩ শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ নিচ্ছেন। কক্সবাজার, টেকনাফ, রংপুর, দিনাজ পুর, ঢাকা , কুমিল্লা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামসহ সমতলের ভিক্ষুসংঘ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৬টি ভিক্ষুসংঘ (নিকায়) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রনজ্যোতি চাকমা।

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বেইন বুনন কার্যক্রম অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে ফানুস উড়ান পার্বত্য উপদেষ্টা।