জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউপিডিএফকে বাদ দেয়া বিশ্বাসঘাতকতার সামিল: ইউপিডিএফ

রাঙ্গামাটি

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আগামীকাল ২ জুন অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে জুলাইআগস্ট অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল বলে কড়া সমালোচনা করেছে ইউপিডিএফ।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ১ জুন ২০২৫ রবিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহসভাপতি নূতন কুমার চাকমা এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঐকমত্য কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানতে পেরেছি যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ২ জুনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউপিডিএফকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। কোন প্রকার কারণ ছাড়া কমিশনের এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত ইউপিডিএফ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। এটা জুলাইআগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।’

পার্বত্য চট্টর্গ্রামের জনগণকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ার বাইরে দূরে সরিয়ে রেখে দেশে কখনই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয় মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ’এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ যারা করে থাকেন, তাদের দ্বারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকতে পারে না।’

নূতন কুমার চাকমা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে ১০ মে’র সংলাপের পর পরবর্তী নির্ধারিত ১৫ মে তারিখের মূলতবি সংলাপ অনুষ্ঠিত না করারও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ভ‚ঁইফোড় একটি উগ্রজাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট সংগঠনের চাপের কাছে নতজানু হয়ে উক্ত সংলাপ বাতিল করা ও পরে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপেও ইউপিডিএফকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি কেবল পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের জন্য অপমানজনক নয়, তা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতেরও ইঙ্গিতবাহী।’

ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ’বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর জাতীয় সংবিধান প্রণয়নকালে দেশের রাষ্ট্রনেতারা যে ভুল করেছিলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সেই ভুল সংশোধনের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান নেতৃত ¡সেই সুযোগ গ্রহণ না করে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)