রাজস্থলী’র বাঙ্গালহালিয়াতে সনাতন ঋষি আশ্রমের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

বিবিধ

মানুষকে ভালোবাসো, মানুষের কল্যাণে কাজ কর—দীপংকর তালুকদার এমপি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

মানুষকে ভালোবাসো, মানুষের কল্যাণে কাজ কর বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মে মানুষের কল্যাণের কথা বলা হয়েছে। কোন ধর্মে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করার কথা বলা হয়নি। আর বর্তমান সরকারের আমলে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ স্ব স্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারছে। সবাই যাতে যার যার ধর্ম উৎসাহ উদ্দিপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভিয়ের মধ্যে করতে পারে তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করছে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া শ্রী শ্রী সনাতন ঋষি আশ্রমের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন ব্যাপি শ্রী শ্রী বিশ্ব শান্তি গীতাযঞ্জ, সনাতন গায়ত্রী যজ্ঞ সনাতন ঋষি আশ্রমে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সনাতন দীক্ষা দান, ভজন সংগীতাসহ দুইদিন ব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্বশান্তি শ্রী শ্রী সনাতন ব্রক্ষ্ম গায়ত্রী মহাযঞ্জে মহতী সনাতন ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সনাতন ঋষি আশ্রমে অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সনাতন ঋষি মহারাজের সভাপতিত্বে আয়োজিত সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাখাল চন্দ্র দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পুলক বড়–য়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য থোয়াইচিমং মারমা, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মউচিং মারমা, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কর টিপু, কুতুরিয়ায পাড়া শিব মন্দির ও সমাজ পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা পুলক চৌধুরী, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন দত্ত, পুলক সাহা, নয়ন চৌধুরী। এছাড়া বাঙ্গালহালিয়াসহ রাঙ্গুনিয়া, চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান থেকে শত শত ভক্তের সমাগমের পাশাপাশি সাধু সন্নাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, ধর্ম হোক যার যার কিন্তু উৎসব হোক সবার এই সম্প্রীতি নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা একই পরিবারের পার্বত্য এলাকার সন্তান। তাই পার্বত্য এলাকাকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। এজন্য ধর্মমত নির্বিশেষে একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে মিলেমিশে আন্তরিকতার সাথে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, উৎসব উদযাপন পরিষদ, জাগো হিন্দু পাড়া, রাঙ্গুনিয়া, রাজস্থলী উপজেলা শাখাও ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ। বিকালে সনাতন সংগীতানুষ্টান উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার অর্জুন বিশ্বাস, টিভি ও বেতন শিল্পী সুজন ঘোষ। পরিবেশনায় ছিলেন লালন ভজন ক্ষেপা, নান্টু দেবনাথ।