আজ বিজয়ের দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার দেশ বাংলাদেশের স্বীকৃতি পাওয়ার দিন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ নানা কর্মসূচি পালন করে।
১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার মহান বিজয় দিবসের ঊষালগ্নে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
যেসব বীর সন্তানের প্রাণের বিনিময়ে এই পতাকা ও মানচিত্র এসেছে, তাঁদের ত্যাগের মহিমাকে স্মরণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে লেকার্স পরিবার।
সকাল ৭.৩০টায় মারী স্টেডিয়ামের জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে ২৯টি স্কুলের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে লেকার্সের শিক্ষার্থীরা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রীতি ক্রীড়ানুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মেজর মীর সোহান মহোদয়।
খেলা শেষে প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও সেনা প্রধানের বাণী পাঠ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগের মহিমা ও বিজয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দীন। এই সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে সালাম প্রদর্শন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মেজর মীর সোহান মহোদয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। তাই আমাদেরকে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রকে ধ্বংস করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।” আলোচনা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সাথে ফটোসেশানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা।
মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)