লংগদু তিনটিলা বনবিহারে দুইদিন ব্যাপী ২৪তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব

রাঙ্গামাটি

বৌদ্ধ ধর্ম অহিংসা ও মৈত্রী ধর্ম, এই ধর্মের মানুষ কখনো হানাহানি করে না—দীপংকর তালুকদার এমপি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক, লংগদু ॥

বৌদ্ধ ধর্ম অহিংসা ও মৈত্রী ধর্ম, এই ধর্মের মানুষরা কখনো হানাহানি করে না বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি সকলকে মৈত্রী ভাবনা নিয়ে মানব কল্যানে কাজ করার আহবান জানান।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার পূজ্য বনভান্তের স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যস্থান ঐতিহ্যবাহি তিনটিলা বনবিহারে দুইদিন ব্যাপী ২৪তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান পূর্নাথীর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমুর্তি দান, কঠিন চীবর দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, কল্পতরু দান, আকাশ প্রদীপ উৎসর্গ ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিহারে আগত হাজারো বৌদ্ধ ধর্মবালম্বীরা সাধু সাধু ধবনিতে ভক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাজবন বনবিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ভান্তকে বৌদ্ধদের শ্রেষ্ঠ দান কঠিন চীবর উৎসর্গ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কল্যাণ মিত্র চাকমা। পরে প্রধান পূণ্যার্থী হিসেবে বক্তব্য দেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি চীবর উৎসর্গ করেন।

বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্বৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্ম দেশনা দেন, বেনুবন অরণ্য কুঠির অধ্যক্ষ পন্থক মহাস্থবির, রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভান্তে পূণ্যজৌতি মহাস্থবিরসহ অন্যান্য ভিক্ষু সংঘরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চীবর দান উদযাপন কমিটির আহবায়ক রকি চাকমা, মান্টি চাকমার পরিচালনায়, অন্যান্য পূণ্যার্থীদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, সাবেক রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায়।

এসময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য আছমা বেগম, লংগদু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন, উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু লংগদু ইউপি চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলি, ওয়াশিংটন চাকমা।

ধর্মসভা ও পঞ্চশীল গ্রহণের পর চীবর দানের মাধ্যমে ‘মুক্তির অহিংসা বাণী ছড়িয়ে যাক মানুষে মানুষে এবং সামনের দিনগুলোতে শান্তি ফিরে আসুক ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের’ এমন প্রার্থনার মধ্যদিয়ে চীবর দানের সমাপ্তি ঘটে। আর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় প্রদীপ প্রজ্বলন ও ফানুস বাতি উত্তোলন।