রাঙ্গামাটিতে করাত কল ও বহুমুখী সমবায় সমিতি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকল প্রোপাগান্ডা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাঙ্গামাটি

॥ নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

রাঙ্গামাটিতে করাতকল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক কল্যার বহুমূখী সমবায় সমিতি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করছে রাঙ্গামাটি করাতকল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক বহুমূখী সমবায় সমিতির সকল সদস্যরা।

শুক্রবার (১জুলাই) বিকেলে রাঙ্গামাটি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রাঙ্গামাটি করাত কল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক কল্যান বহুমূখী সমবায় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রবিন বিশ্বাস।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, করাতকল ও কাঠ পরিবহন শ্রমিক বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মমতাজ মিয়া, সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, বর্তমানে মোঃ ইব্রাহীম, ইয়াকুব আলী, আলমগীর, আলাউদ্দীন ও শাহজাহান মিলে জেলা সমবায় অফিসে অত্র সমিতির নামে দুর্নীতি ও সদস্যপদ ব্যাপারে অভিযোগ করলে ২৭/ ০৬/২০২২ তারিখে জেলা সমবায় কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি সমিতি অফিসের সকল ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই ও পরিদর্শন করেন। তারই মধ্যে মোঃ শাহজাহান অভিযোগ করেন যে, অত্র সমিতির ১৭১ জন্য সদস্য অবৈধ ও তাদের বাতিল করতে হবে মর্মে গত ২৮/ ০৫/ ২০২২ইং তারিখ দৈনিক নতুন বাংলাদেশ পত্রিকায় সমিতির সদস্য ভর্তি, দুর্নীতি ও ক্রয়-বিক্রয় সদস্যপদ বাতিল করেছি বিষয়ে ছাপানো হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা বর্তমান কার্যকরী কমিটি শ্রনিক ব্যতিত কাউকে ভর্তি বা সদস্যপদ হস্তান্তর করিনি। যেসকল সদস্যপদ হস্তান্তর করেছে তাহা পূবের কমিটিই করেছে। তাদের বক্তব্য অনুসারে ১৭১ জন সদস্যকে বাতিল করতে হবে। কিন্তু আগে যারা হস্তান্তরের মাধ্যমে অত্র সমিতিতে সদস্যপদ লাভ করেছে তাহার সকল ধরণের পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি রয়েছে। কিন্তু সদস্যপদ হন্তান্তর নিয়ে তাহাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে অভিযোগের কারণ পূর্বের ন্যায়খতিয়ে দেখা হবে।

তারা আরও বলেন, কার্যকরী কমিটি কর্তৃক অত্র সমিতির সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ, সমিতির চলমান সুনামকে ক্ষুন্ন করে নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য কিছু ব্যক্তি সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। কিন্তু গন্যমাধ্যমে মোঃ শাহজাহান এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, বিগত আহবায়ক কমিটি ৩৩৯ জন সদস্য নিয়ে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। মোঃ শাহজাহানের অভিযোগের আলোকে যদি ১৭১ জন্য সদস্য অবৈধ হয়, তাহলে কি ? ১৬৮ জন সদস্য নিয়ে অত্র সমিতি গঠিত ? আরো উল্লেখ্য যে, মোঃ শাহজাহান ৪৯ ধারা তদত্তের বাদী ছিল। আর ৪৯ ধারার তদন্তের রিপোর্ট অনুসারে পাওয়া যায় ২৯/০৭/২০১৮ সালে অথচ ১৭১ জনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তাহা ২০১৫ সালে আগে অত্র সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।