পর্যটন শিল্পর বিকাশ এবং স্তন ও জরায়ু প্রতিরাধ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রাঙ্গামাটিতে ম্যারাথন দৌড়

রাঙ্গামাটি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

পর্যটন শিল্পর বিকাশ এবং স্তন ও জরায়ু প্রতিরাধ সচতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রাঙ্গামাটিতে প্রথমবারর মত অনুষ্ঠিত হলো হাফ ম্যারাথন প্রতিযাগিতা। দেশের বিভিন প্রান্ত থেকে কয়েকশ প্রতিযোগী এই হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে।

শুক্রবার ১৭ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটায় রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে প্রতিযাগিতা শুরু হয়। প্রতিযাগিতা উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

ম্যারাথন ১০ কিলামিটার ও ২১ কিলামিটার এই দুই ইভেন্টে প্রতিযাগিরা হ্রদ পাহাড়র এই শহরর অলিগলিত ছুটে চলে। ম্যারাথন নারী-পুরুষ মিলে ২শ প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন।

ম্যারাথন শেষ হয় রাঙ্গামাটির আসামবস্তির নারিকেল বাগানে। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।

এ সময় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য্য ড, প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবে সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে।

“Run to end cervical and breast cancer; এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “রাঙ্গামাটি রানার্স” এবং মেডিসিন ক্লাব (মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন)-এর যৌথ আয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহযোগিতায় এ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

ইভেন্টের ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরির পুরুষ বিভাগে ৪৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন সাক নাহিদ, ৪৬ মিনিট ৫১ সেকেন্ড সময় নিয়ে মোঃ শরিফুল ইসলাম ১ম রানার্স আপ এবং ৪৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে শাকিল সিদ্দিকী ২য় রানার্স আপ হন। মহিলা বিভাগে ১ ঘণ্টা ০৭ মিনিট ২২ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন শবনম আক্তার, ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে শারমিন আক্তার শিল্পা ১ম রানার্স আপ এবং ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২য় রানার্স আপ হন রাঙ্গামাটির আকাশ লীনা চাকমা।

২১.১০ কি.মি হাফ ম্যারাথন ক্যাটাগরির পুরুষ বিভাগে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন রাঙ্গামাটির নবজীব চাকমা, ১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট ৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে রাঙ্গামাটির উৎস চাকমা ১ম রানার্স আপ এবং ১ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে ২য় রানার্স আপ হন ফোরহান জামান। মহিলা বিভাগে একমাত্র অংশগ্রহণকারী মমতাজ বেগম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করে চ্যাম্পিয়ন হন।