॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে রাঙ্গামাটি জেলার ১০ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে রাঙ্গামাটি সদরের ৬ টি ও নানিয়ারচর উপজেলার ৪ টি। এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ইউনিয়নের মানুষের মাঝে। তার মাঝে আরো উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নে ও নানিয়ারচর উপজেলার ২ টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগ নানিয়ারচর উপজেলার ৪ টির মধ্যে সাবেক্ষং ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা হলেন, জীবতলী ইউনিয়নে যতীন চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা, মগবান ইউনিয়নে বিনিময় চাকমা, সাপছড়ি ইউনিয়নে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কুতুকছড়ি ইউনিয়নে সন্টু বিকাশ চাকমা, বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নে ত্রিতোষ চাকমা, বালুখালী ইউনিয়নে অমর কুমার চাকমা।
নানিয়ারচর উপজেলায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা হলেন, নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট দর্শন চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের মোঃ আব্দুল ওহাব হাওলাদার। তবে পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের প্রভাব বেশী থাকায় আওয়ামীলীগ বেশ কিছু ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়া থেকে বিরত রয়েছে। তার মধ্যে নানিয়ারচর সাবেক্ষং ইউনিয়ন ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
আগামীকাল ২৫ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। বাছাই হবে ২৯ নভেম্বর, আপিলের তারিখ ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, আপিল নিস্পত্তি ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ আগামী ২৩ ডিসেম্বর।
এদিকে বুড়িঘাট ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুল ও হাব হাওলাদার জানান, নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট একটি দুর্গম ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য আওয়ামীলীগ আমাকে চেয়ারম্যান মনোনয়ন দিয়েছে আশা করি আমি আওয়ামীলীগের মান ধরে রাখতে পারবো। এই ইউনিয়নের পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের কাছে আমার গ্রহণ যোগ্যতা সমান রয়েছে। আশা করছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও পার্বত্য অঞ্চলের অহংকার দীপংকর তালুকদারের হাতে জয়ের মালা তুলে দিতে সক্ষম হবো। তিনি ইউনিয়নের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী এ্যাডভোকেট দর্শন চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতি করে পাহাড়ের প্রতিটি মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার ফল হিসাবে আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এই এলাকার প্রতিটি মানুষ আওয়ামীলীগকে ভালোবাসে। আমাকেও প্রতিটি মানুষ তাদের ঘরের সন্তান হিসাবে জানে। সকলের ভালোবাসা নিয়ে জয়ের মালা জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা ও পাহাড়ের অহংকার দীপংকর তালুকদারের হাতে জয়ের মালা পৌছে দিতে পারবো।
রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোঃ মোস্তফিজুর রহমান বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে আওয়ামীলীগের হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে গেছি। গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে অল্প ভোটে হেরে গেলেও জনগনের পাশে থেকে দীর্ঘ ৫ বছর কাজ করে গেছি। এই এলাকার প্রতিটি মানুষের ঘরের সন্তান হিসাবে এবারেও আমাকে ভোট দিয়ে তারা তাদের কাঙ্খীত ফলাফল ছিনিয়ে আনবে। আশা করছি সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে আওয়ামীলীগের কর্ণধার জাতির জনকের কণ্যা শেখ হাসিনা ও পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদারের হাতে জয়ের মালা তুলে দিতে পারবো।