\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার ২নং বরকল ইউনিয়নের কুসুমপুর মনোরম বৌদ্ধ বিহারে ২০ অক্টোবর সোমবার সকালে ধর্মীয় মর্যাদা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান ও নবনির্মিত বুদ্ধমূর্তি অভিষেক অনুষ্ঠান–২০২৫।
অনুষ্ঠানে প্রভাতফেরি, পিন্ডদান, সংঘদান, কঠিন চীবর দান, বুদ্ধমূর্তি অভিষেক, এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভিক্ষুসংঘের প্রতি দায়ক-দায়িকাবৃন্দ চীবর, দান সামগ্রী ও পূণ্যার্থে দান প্রদান করেন।
বিহার পরিচালনা কমিটি ও সদ্ধর্মপ্রাণ দায়ক-দায়িকাবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভোর থেকে বিহার প্রাঙ্গণে ভক্ত-দায়ক-দায়িকাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আবহে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

প্রভাতফেরি ও ধর্মদেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের, সভাপতি—সিএইচটি সুপ্রিম সংঘ কাউন্সিল বাংলাদেশ এবং আবাসিক অধ্যক্ষ—সংঘারাম বৌদ্ধ বিহার, ভেদভেদি।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “দানোত্তম কঠিন চীবর দান বৌদ্ধ ধর্মীয় জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দান। এটি কেবল দান নয়, এটি মানবিকতা, সততা ও সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করার এক মহামিলন উৎসব।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট দীপেন দেওয়ান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য দেব প্রসাদ দেওয়ান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাহুল চাকমা, রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আল আমিন, কলেজ ছাত্রদলের বিবিএস ডিপার্টমেন্ট কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদন বিকাশ চাকমা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, ভিক্ষুসংঘ, এবং শত শত দায়ক-দায়িকা।
প্রধান অতিথি দীপেন দেওয়ান বলেন, “ধর্ম ও জাতি একে অপরের পরিপূরক। সমাজে প্রত্যেক নাগরিক যদি নিজের অবস্থান থেকে সৎ ও নিষ্ঠাবানভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হবে। ধর্ম মানুষকে সত্য, ন্যায় ও শান্তির পথে পরিচালিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এই মহত্ অনুষ্ঠান শুধু ধর্মীয় নয়, এটি সামাজিক ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতীক। এই ধরনের আয়োজন আমাদের জাতীয় সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

