\ রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি \
কাপ্তাই হ্রদের আহরণকৃত মাছ ল্যান্ডিং স্টেশনে সকাল ৬টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত পুর্বের নিয়মে রাখাসহ সময় বৃদ্ধির দাবিতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে রাঙ্গামাটির জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে এই মাছ ধরা বন্ধ করেছে ব্যবসায়ী ও জেলেরা। ব্যবসায়ীরা বলেন, বিএফডিসি কখনোই কাপ্তাই হ্রদ ও ব্যবসায়ীদের কথা কখনোই ভাবেনি। তারা শুধু রয়েলটির কথা ভেবেছে। জেলেরা সন্ধ্যার পর যে মাছ গুলো ধরে সেই মাছ গুলো রাঙ্গামাটি আসতে আসতে রাত ১০ টার পর হয়ে যায়। রাতেই মাছ গুলো রপ্তানী করতে না পারলে সকাল হতে হতেই মাছ গুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং সকালে অবতরণ করে ঢাকায় নিতে নিতে মাছ গুলোর দাম পাওয়া যায় না। তাই যদি রাতে যে মাছ গুলো আহরন করে সেই মাছ গুলো যদি রাতেই ঢাকা বা চট্টগ্রামে পাঠানো যায় তাহলে জেলেদেরকেও দাম দিতে পারবো নিজেরাও কিছু লাভ করতে পারবো। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি আগের নিয়মেই মৎস্য অবতরণ করা হোক।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিএফডিসি রাঙ্গামাটি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোঃ ফয়েজ আল করিম বলেছেন সরকারী নিয়মনীতির আলোকেই মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের সময় নির্ধারন করা আছে। বর্তমানে সকাল ছয়টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা মৎস্য অবতরণ করার পর্যন্ত সময় নির্ধারন করা আছে। এর চেয়ে বেশী সময় নির্ধারিত হলে ওভার ফিসিং হবে। তিনি জানান বর্তমান নিয়মের কারনে বিগত আড়াই মাসে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
বর্তমানর মাছ আহরন বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি)’র রাজস্ব আদায় বন্ধ হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা এবং রাত ৮ টা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত মৎস্য অবতরন কেন্দ্র খোলা রেখে মাছের রাজস্ব আদায় করার সময় বৃদ্ধি করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাছ আহরন বন্ধ রাখার ঘোষনাও দেন তারা। এতে বিপাকে পড়েছে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ী,জেলে ও শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরন করে তা বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে সরকারি রাজস্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। হ্রদের উপর নির্ভর করে ২৬ হাজার জেলে, ৫শ ব্যবসায়ী ও ৫ হাজার শ্রমিক।

