রাঙ্গামাটির সাজেক পুড়ে ছাই, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন

রাঙ্গামাটি

\ নিজস্ব প্রতিবেদক \

দীর্ঘ ৯ ঘন্টা পর রাঙ্গামাটির সাজেকের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দীর্ঘ ৯ ঘন্টার আগুনে সাজেকে ৯০ টির অধিক রিসোর্ট ও কটেজ এবং দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।

এদিকে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হওয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আগামী ২৫ ফেব্রæয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।

রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানায় সোমবার (২৪ ফেব্রæয়ারী) দুপুর ১টার দিকে অবকাশ রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই আগুন আশপাশের রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ৯০ টির বেশি রিসোর্ট-কটেজে আগুনে পুড়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে এরই মধ্যে সাজেক অবকাশ রিসোর্ট, ইকো ভ্যালি রিসোর্ট, মেঘছুট রিসোর্ট, মনটানা রেস্টুরেন্ট, মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ ১৫টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপন লড়ে যায় সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন, ২৭ ও ৫৪ বিজিবির জোয়ানরা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে প্রথমে সাজেক অবকাশ রিসোর্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে এরই মধ্যে সাজেক অবকাশ রিসোর্ট, ইকো ভ্যালি রিসোর্ট, মেঘছুট রিসোর্ট, মনটানা রেস্টুরেন্ট, মারুয়াতি রেস্টুরেন্টসহ ১৫টি রিসোর্ট ও কটেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপন লড়ে যায় সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোন, ২৭ ও ৫৪ বিজিবির জোয়ানরা।

রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বেলা একটার দিকে রুইলুই ভ্যালির হেডম্যান লালথাংয়া লুসাইয়ের বাসভবনের পাশে সাজেক ইকো ভ্যালি রিসোর্টে প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েক শ পর্যটক আতঙ্কিত হয়ে রিসোর্ট-কটেজ থেকে বেরিয়ে যান। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছায়নি। দুর্গম রাস্তার কারণে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো পৌঁছাতে সময় লাগেছে এবং পানির সংকট থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।

সাজেকের হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৩০-৩৫টির বেশী রিসোর্ট-কটেজ পুড়ে গেছে। দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস সাজেকে পৌঁছাতে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা লেগে যায়। এখানে যদি একটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট থাকতে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আকতার জানান, দুপুরের দিকে সাজেকের একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। তাৎক্ষনিক ভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট না থাকায় খবর পাওয়ার সাথে সাথে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। তবে কি ভাবে আগুণের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তা পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বিকেলে পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন।