রাঙ্গামাটিকে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ারদের কর্মবিরতি অব্যাহত

রাঙ্গামাটি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ার পদে কর্মরতদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে তিন দিন ব্যাপি কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট রাঙ্গামাটির সার্ভেয়াররা।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখে বৈষম্য বিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ এর ডাকে কর্ম বিরতি কালে আইডিএসইবি (ইনষ্টিটিউট অব সার্বে ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ) রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানকে তাদের দাবী দাওয়া সম্বলিত পত্র দিয়েছেন রাঙ্গামাটি অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় আঞ্চলিক পরিষদের সার্ভেয়ার ও সিনিয়র সহ-সভাপতি নিমাই চাকমা, লংগদু উপজেলা ভ’মি অফিসের সার্ভেয়ার ও সহসভাপতি সরদার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রাঙ্গামাটি সদর ভ’মি অফিসের সার্ভেয়ার ও সহ-সভাপতি জেনন চাকমা, আঞ্চরিক পরিষদ সার্ভেয়ার ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মংসিন থোয়াই মারমা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীগণ ডিজিটাল ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি অধিগ্রহণ, সড়ক, মহাসড়ক, ব্রীজ, কালভার্ট, নদী/খাল খনন, বাধঁ, ইমারত নির্মাণ, হাইড্রোগ্রাফিক জরীপসহ সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের সকল উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে সার্ভেয়ার/সমমানের পদে কর্মরত থেকে সার্ভে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

১৯৯৪ সালের ১৯ নভেম্বর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ১৬৪ নম্বর প্রজ্ঞাপনের এবং ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বরর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে তাঁহাদের অধীনস্থ অফিসসমূহে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমাধারীদেরকে ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করা হলেও সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নির্ধারিত সার্ভেয়ার / সমমানের পদে সরকার নির্ধারিত গ্রেডের কয়েক ধাপ নীচে ১৪/১৫/১৬ গ্রেডে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ৪ (চার) বৎসর মেযাদী সকল ডিপ্লেমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাশকৃতদের চাকরি/দক্ষতার শ্রেণীকরণে মধ্যম সারির ব্যবস্থাপক/সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার / সমতূল্য হিসেবে বলা হলেও সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না। যা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ এর সুস্পষ্ট লংঘন। কারিগরি শিক্ষার অবমূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে চরম বৈষম্যমূলক আচারণ। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সান্নিধ্যে থেকে বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়তে থাকলেও দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম সার্ভেয়িং টেকনোলজির ডিপ্লোমাধারী গণের ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা অত্যন্ত দুঃখজনক।