॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দেশের চলমান সহিংসতার ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১১ দফা দাবী নিয়ে ৩ দিনের কর্মবিরতীর পর কাজে যোগ দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। শুক্রবার ৯ আগষ্ট দুপুরের পর থেকে কর্মস্থলে ফিরেন রাঙ্গামাটির পুলিশ সদস্যরা।
সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচারের দাবী সহ ১১ দফা দাবী দিয়ে কর্মবিরতীতে যায় পুলিশ সদস্যরা। পরে নতুন তত্ত্বাবধায় সরকারের দায়িত্ব নেয়ার ১ দিনের মাথায় দাবী পুরণের আশ^াসে কাজে ফিরলেন পুলিশ সদস্যরা।
গত সোমবার দুপুরে সরকার পতনের পর রাঙ্গামাটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপায় অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্সেও ভাংচুর করা হয়েছে আনন্দ মিছিল থেকে। ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ ট্রাফিক বক্স সংস্কার করে সেখানেও ডিউটি পালন করেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। শুক্রবার দুপুর (৯ আগষ্ট) থেকে রাঙ্গামাটি কতোয়ালী থানায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা। জানা গেছে রাঙ্গামাটি জেলার ১২ টি থানা ও অন্যান্য পুলিশ ফাঁড়ি গুলোতেও কর্মস্থলে ফিরেছেন পুলিশ।
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি কতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী জানান, শুক্রবার থেকে থানা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও অপারেশনের পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে আসছেন। অন্যান্য থানা গুলোতেও পুলিশ সদস্যরা কাজে ফোর খবর পেয়েছি।
রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবা তৌহিদ জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে রাঙ্গামাটির ১২ টি থানায় পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে ফিরেছেন। ট্রাফিক বিভাগও দায়িত্ব পালন শুরু করেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাহিনীর সংস্কার দাবীতে ১১ দফা দাবীতে রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইনসে বিক্ষোভ করে পুলিশ সদস্যা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত কাজে ফিরবে না তারা। কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এ এসপি) পর্যন্ত নি¤œপদস্থ পুলিশ সদস্যরা ও বিক্ষোভে পুলিশের উচ্চ পদস্থ বিসিএস কর্মকর্তাদের উপর বিক্ষুব্ধ হন।