॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় সরকারি স্থাপনা, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার. গীর্জা ও বিভিন্ন উপসনালয় রক্ষায় মাঠে কাজ করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। ৭ আগষ্ট বুধবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটির একটি বিশেষ টিম রাঙ্গামাটি শহর সহ বিভিন্ন উপজেলার মন্দির বিহার ও গীজা পরিদর্শন করেন এবং উপসনালয়ের কমিটি ও পুরোহিতদের সাথে কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপসনালয় পরিদর্শণের সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, ইসলামী ছাত্র আন্দোলর রাঙ্গামাটির সভাপতি মোঃ হোসাইন মল্লিক, মাওলানা কাজী শহীদুল্লাহ, পর্যটন মসজিদের ইমমা মাজাহারুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৭ আগষ্ট বুধবার দুপুর থেকে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গীর্জা, সহ সনাতন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উপসনালয় পরিদর্শন করেন এবং মোবাইল নাম্বার সহ লিফলেট বিতরণ করেন এবং প্রতিটি মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারের দেয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় নেতৃবৃন্দ শহরের বিভিন্ন মন্দির কমিটি, বৌদ্ধ বিহার কমিটি ও গীর্জার কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে কথাবলেন এবং তাদেরকে সচেতন করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, বলেন, বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন হতে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অনাকাঙ্খিত মারধর, গুম হত্যা, বাড়ীঘর ভাংচুরের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এই রকম কোন ঘটনা কামনা করিনি। কিন্তু কিছু দুস্কৃতিকারী আমাদের সরকারী স্থাপনা, বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপসনালয়ে অগ্নিসংযোগ সহ বাড়ীঘর ভাংচুর করছে। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক ধমীয় স্থাপনা ও সনাতন সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর রক্ষায় এগিয়ে এসেছি। আশা করছি এখন থেকে আমরা প্রতিটি এলাকায় আমাদের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে হলেও এই সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাঙ্গামাটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর হোসেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এখানে কোন অপশক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা প্রতিটি মন্দির, বিহার ও গীর্জায় পাহার ব্যবস্থা করেছে। প্রতিটি মন্দিরের কমিটি ও পুরোহিতদের হাতে আমাদের নাম্বার দেয়া আছে এই রকম কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা দেখলেই যাতে আমাদেরকে ফোন করে। আমরা দ্রুত রেসপন্স করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তা প্রতিহত করবো। এছাড়া কোন মন্দির যদি তাদের নিরাপদ মনে না করে তাহলে আমরা পাহারার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।