চলতি বছর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে ১০ হাজার গাছ লাগাবে সওজ

রাঙ্গামাটি

\ নিজস্ব প্রতিবেদক \

চলতি বছর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে ১০ হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। গতকাল ‘করব ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখব মরুময়তা; অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’- এই প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে গতকাল রাঙ্গামাটির সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সৃজন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি বিভাগ।

বুধবার (৫ মে) সওজের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ভেদভেদীস্থ স্ট্যাকইয়ার্ড এলাকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসে উপলক্ষে বৃক্ষ সৃজন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সওজ রাঙ্গামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা।

এসময় সওজ রাঙ্গামাটি বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রনেল চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রেনুকা চাকমা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনেন চাকমা, পলাশ চাকমা, রবিউল আওয়াল, কীর্তি নিশান চাকমা, তিথি চাকমা ও অর্ধেন্দু বিকাশ চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রাঙ্গামাটির চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়ক, রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক, ঘাগড়া-বাঙ্গালহালিয়া আঞ্চলিক সড়ক, বাঙালহালিয়া-রাজস্থলী জেলা মহাসড়ক, বগাছড়ি-নানিয়ারচর সড়কের ১৮০ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন উপযুক্ত স্থানে ১০ হাজার ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধন গাছ লাগাবে সওজ। সোনালু, জারুল, নিম, লাল সোনাইল, কৃষ্ণচূড়া, কাঞ্চন, কনকচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গতবছরও জেলার বিভিন্ন সড়কে ৩ হাজার গাছ লাগায় সওজ।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ‘মহাসড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও বাস্ততন্ত্রের পুনরুদ্ধারের জন্যই গাছ লাগানো হচ্ছে। রাঙ্গামাটি জেলার ১৮০ কিলোমিটার সড়কের উপযুক্ত স্থানে আমরা এ বর্ষা মৌসুমে ১০ হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। গত বর্ষা মৌসুমেও জেলার বিভিন্ন সড়কে ৩ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের অবশ্যই গাছ লাগাতে হবে; সেজন্য আমরা ঔষধি ও সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন করে এমন গাছ লাগাচ্ছি।’