রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সড়কের বনভন্তের স্মৃতি মন্দিরের পাশ^বর্তী এক অসহায় নারীকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা শুরু

রাঙ্গামাটি

\ নিজস্ব প্রতিবেদক \

রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সড়কের বনভন্তের স্মৃতি মন্দিরের পাশ^বর্তী এক অসহায় নারীকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। অসহায় নারী কুন্তি চাকমার বড় ভাই সজীব চাকমার রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৪২ বছর বসবাসকৃত জায়গা থেকে উচ্ছদে করার প্রক্রিয়া চলছে। সীমানা জটিলতা ও বড় ভাইয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে কুন্তি চাকমার লাগানো বাগান সহ বিক্রি করে দিয়েছে তার বড় ভাই সজিব চাকমা।

অসহায় কুন্তি চাকমা বরেন, আমার পিতা শরৎ কুমার চাকমা আমাকে এইজায়গা দিয়ে গেছে। এই জায়গার উপর আমি হেডম্যানের অনুমতি নিয়ে ১৯৭৯ সাল থেকে বসবাস করছি। আমি ও আমার স্বামীর শিক্ষার আলো নেই। তার পরও আমরা জায়গটি বন্দোবস্তী পাওয়ার জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কাছে ১ একর জায়গা মৌজা প্রধানের সুপারিশ ক্রমে বন্দোবস্তীর জন্য আবেদন করেছি। যার রাজস্ব ডটেক নং-৭০০ তাং-১৮-১১-১৯৯৮। কিন্তু তার বড় ভাই সজিব চাকমা বাবার রেডর্ক ভ’ক্ত জায়গা দেখিয়ে জায়গটি বিক্রি করে দিলে অসহায় হয়ে পড়ে কুন্তি চাকমা ও তার স্বামী সোনারাম চাকমা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সড়কের বনভন্তের স্মৃতি মন্দির এলাকায় নায়ানাভিরাম এলাকায়। সড়ক হওয়ার সময় সোনারাম চাকমা ও কুন্তি চাকমা একবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে সড়ক হওয়ার পর থেকে তাদের শিক্ষার আলো বঞ্চিত সোনারাম ও কুন্তি চাকমা ছেলে মেয়ে নিয়ে পাশ^বর্তী জায়গায় আবারো বাড়ী গড়ে তোলে। পরে নিজেদের উপর্জনের জন্য সোনারাম চাকমা ও কুন্তি চাকমার চায়ের দোকান করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চে। এই সড়ক হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ফুলের চারারোপন ও পর্যটকদের বসার জন্য বেঞ্চ তৈরী করে দেয়। পাশাপাশি সোনারাম চাকমা ও কুন্তি চাকমা চায়ের দোকান খুলে বসে। পর্যটকরা তাদের দোকানে খাবার খেলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে।

কিন্তু তাদের এই সুখ বেশীদিন সইল না। তার বড় ভাইয়ের চোখ পড়ে তাদের এই জায়গার উপর। বড় ভাই জায়গাটি বিক্রি করে দেয় অপর জনের কাছে। দীর্ঘদিন জায়গা নিয়ে জটিলতা কারণে অসহায়ের মতো বিচারকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। তাদের লাগানো বিভিন্ন ফল বাগান সহ তার বড় ভাই বিক্রি করে দেয়ায় তাদের আয় উপর্জন কমে গেছে বলে জানান অসহায় কুন্তি চাকমা। তিনি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কুন্তি চাকমার বড় ভাই সজীব চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি বাবা আমাকে দিয়ে গেছে তাই আমি বিক্রি করে দিয়েছি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হেডম্যান সহ এসে আমার বিক্রিত বিশ শতক জায়গা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে বাকি জায়গাতে আমার বোন রয়েছে এখানে বিরোদ হওয়ার কোন কারণ নেই।