পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ, সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও নৌ-পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ

রাঙ্গামাটি

\ নিজস্ব প্রতিবেদক \

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী আঞ্চলিক স্বসস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ, রাঙ্গামাটির কয়েকটি স্থানে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রধান করেছে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও নৌ-পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো মোশারফ হোসেন খানকে এই এই স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

এসময় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি শহিদুজ্জামান মহসিন রোমন, রাঙ্গামাটি জেলা ট্রাক মিনি ট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা ট্রাক মিনি ট্রাক মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি হাজী সাব্বির আহমদ ওসমানী, ট্রাক মালিক সমিতিরি যুগ্ন-সম্পাদক রণজিৎ বড়ুয়া, ট্রাক মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী সেলিম, মিনি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ আলী আকবর আবু, ট্রাক চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ হাসান, সদস্য মোঃ দিাদরুল আলম প্রমুখ।

পার্বত্য অঞ্চলে হত্যা, গুম, চাঁদাবাজী, ডাকাতি ও অপহরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন “দেপ্পোছড়ি” সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসাবে পরিচিত বিধায় উক্ত“দেপ্পোছড়ি” নামক স্থানে স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর (সেনাবাহিনীর) ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে, রাঙ্গামাটি সদর মানিকছড়ি হতে ঘাগড়া যৌথ খামার এলাকা পর্যন্ত সড়কে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, রাঙ্গামাটি সদর মানিকছড়ি হতে মহালছড়ি সড়কে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, রাঙ্গামাটি জেলার সকল নৌ-পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, রাঙ্গামাটি আসামবস্তি হতে কাপ্তাই সড়কটি পর্যটন এলাকা হওয়ায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, জনদরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ১০/১০/২৩ইং গুলিবর্ষনে ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ী ও আহত চালকের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দানের জোর দাবী জানানো হয়।

এসময় নেতৃবৃন্দরা জানান, সারাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সহিত পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নকে জনসাধারণের নিকট পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে চিরনী অভিযানের আদেশ দিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য অত্র আবেদন সহকারে স্মারকলিপি প্রদান করছি।