জাতির পিতার হত্যাকারীরা আজো সক্রিয় রয়েছে—- দীপংকর তালুকদার
\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন জাতির পিতার হত্যাকারীরা আজো সক্রিয় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে আমাদেরকে।
বুধবার ২৩ আগষ্ট রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এ কথা বলেন।
বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ, সন্তোষ কুমার চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক মমতাজুল হক মমতাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জেলা শিক্ষা ও মানবকল্যান সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম সাইদুল, জেলা তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অরুন বিকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মোঃ আবু তৈয়ব। অন্ষ্ঠুান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম।
দীপংকর তালুকদার বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ২০ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। বাঙালি জাতি মুক্তি পেয়েছিল। শেখ মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল।
বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে না পারে তার জন্য ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দেখে দেশ বিরোধীরা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে ১৫ আগষ্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে আমাদের সকল নেতা কর্মীদের ঐক্য বদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।