\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির জনকের জ্যেষ্টপুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্ম বার্ষিকীতে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর অংশ গ্রহণ করলেও কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনন কেন্দ্র বিএফডিসির কোন কর্মকর্তা জাতীয় এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেনি। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। জাতীয় এই প্রোগ্রামে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার থাকার কথা কালেও কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনন কেন্দ্র বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া রাঙ্গামাটি স্টেশনেও উপস্থিত নেই।
এছাড়া জাতীয় শোকের মাস হিসাবে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে শোকের মাস হিসাবে ব্যানার ফ্যাস্টুন নাঙ্গানো হলেও রাঙ্গামাটি বিএফডিসি কার্যালয়ে কোন ব্যানার বা ফ্যাস্টুন টাঙ্গানো হয়নি। প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে আহরিত মাছের উপর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও জাতীয় দিবস গুলোতে কোন ধনের অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা বা জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার না টাঙ্গানেতে ক্ষোভে দেখান আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএফডিসি অফিসের পাশে ফায়ার সার্ভিসের বড়ো বড়ো করে জাতীয় শোক দিবস ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছে। বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ কী এটাও চোখে দেখে না।
রাঙ্গামাটির বিএফডিসির কয়েকজন কর্মকর্তাকে প্রোগ্রামে না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, স্যার চট্টগ্রাম রয়েছে। রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনন কেন্দ্র বিএফডিসির পক্ষ থেকে আমাদেরকে কোন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। তাই আমরা প্রোগ্রামে উপস্থিত হতে পারিনি।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য জীবিলীগের সভাপতি উদয়ন বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখ জনক। জাতীয় শোক দিবসের রাঙ্গামাটির বিভিন্ন দপ্তর ব্যানার টাঙ্গালেও বিএফডিসি কোন ব্যানার টাঙ্গায়নি। এছাড়া আজ জাতীয় একটি প্রোগ্রাম জাতির জনকের পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে অন্যান্য বছর বিএফডিসির ব্যবস্থাপকের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হলেও এবছর করা হয়নি। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারি না বিএফডিসির ব্যবস্থাপক স্বাধীনতা, স্বার্ভভৌমত্ব ও মুক্তযুদ্ধকে মানেন কিনা। এমন একট্ িজাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ না করা মানে স্বাধীনতাকে অবমাননা করা। তিনি এই কাজের জন্য ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত রাঙ্গামাটি নেজারত ডেপুটি কালেক্টরের বিজন কুমার জোয়ারদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির সকল প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার জন্য। আমরা আশা করি কাউকে বাদ দেয়নি।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উন্নয়ন ও বিপনন কেন্দ্র বিএফডিসির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামে রয়েছি। আপনার আগে আমাকে আরো কয়েকজন ফোন করেছে বিষয়টি নিয়ে। তিনি বলেন, আজকের প্রোগ্রামের কথা আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমরা কেউ জানি না আজকের প্রোগ্রামের কথা। তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন দপ্তর থেকেও তাদেরকে প্রোগ্রামের কথা জানানো হয়নি।
তবে রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম বিএফডিসির দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ণ কর্পোরেশন থেকে যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ হারুন অর রশদী স্বাক্ষরিত এক পত্রে সকল কেন্দ্রকে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামারের ৭৪ তম জন্মদিনে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির সাধারণ মানুষ মনে করেন জাতীয় শোক দিবসের মাস ব্যাপী রাঙ্গামাটি জেলায় বিভিন্ন সরকারী দপ্তর বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করলেও বিএফডিসি কেন কোন ব্যানারও টাঙ্গায়নি তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা এই সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানান।