মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে অন্তরা সেনের সংবাদ সম্মেলন

রাঙ্গামাটি

\ নিজস্ব প্রতিবেদক \

সাজানো নাটকের মাধ্যমে মিথ্যা ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে অন্তরা সেন। আজ রাঙ্গামাটি বনরূপাস্থ রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী অন্তরা সেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রিরুদ্ধে সাজানো নাটকের মাধ্যমে ইয়াবা দিয়ে সম্মান ক্ষুন্ন করার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি ডিবি পুলিশ হতে যে তথ্য দিয়েছেন সে তথ্য অনুযায়ী আপনারা নিউজ করেছেন।স্ব-স্ব প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ করাটা সেটা আপনাদের দায়িত্ব বা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তবে সে দিনের ঘটনাটি ছিল জজ মিয়ার সাজানো একটি নাটক।আমি জেল থেকে বের হয়ে আজ সে নাটক এর সবটুকু কাহিনী আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্বের ঘটনার জের ধরে ২২ পিছ ইয়াবা দিয়ে ডিবি পুলিশ আমাকে (অন্তরা সেন) অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। গত ২৭ জুলাই ২০২৩ বিকাল অনুমানিক ৪টায় শহরের পৌরসভা বৃক্ষমেলা সংলগ্ন এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ কনস্টেবল মোঃ আশিক আমাকে ডাক দিয়ে বলে অন্তরা আপা এখান থেকে একটা মহিলা বের হতে দেখছেন। আমি বলি না তো। তথন কনস্টেবল আশিক আমাকে বলে আপা আপনার সাথে একটু কথা আছে এদিকে আসেন। তখন আমি তার সাথে একটু পেছনের দিকে নিয়ে আমাকে তল্লাশি করে এবং বলে মাল পাওয়া গেছে।

জাতির বিবেক সাংবাদিক বৃন্দ—একপর্যায়ে আশিক আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তার পর আমাকে বলে চল ডিবি অফিসে যেতে হবে আমি (অন্তরা সেন)বলি কেন ডিবি অফিসে যাব। তখন আশিক বলে না গেলে কি ভাবে নিয়ে যেতে হয় তা আমি জানি। কনস্টেবল আশিকসহ অন্যান্য ডিবি সদস্যরা জোরপূর্বক আমাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোনসহ আমার হ্যান্ডব্যাগ কেড়ে নেয়। তার পর আমাকে এক পাশে নিয়ে বলে আমরা যা বলি তাই তোমাকে বলতে হবে। যদি না বল তাহলে ৫শ’ পিছ ইয়াবা দিয়ে তোমাকে চালান দেব সেটা আমাদের উপরের নির্দেশ। আমি একজন নারী ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে সবাই আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। তখন আশিকসহ ডিবি কার্যালয়ে থাকা লোকজন একটি কাগজে কিছু কথা লিখে নিয়ে আসে। ওই কাগজে তারা আমার নাম ঠিকানাসহ ২২ পিছ ইয়াবা আমার কাছে পাওয়া গেছে মর্মে জোরপূর্বক সে কাগজ আমাকে দিয়ে পড়ায় এবং কনস্টেবল আশিক আমাকেসহ দু’পাশে ২জন মহিলা ডিবি পুলিশ দাঁড় করিয়ে ভিডিও ধারন করে। আমি তাদের ভয়ভীতি ও চাপের মূখে নিরুপায় হয়ে ওই কাগজের দিকে তাকিয়ে পড়তে থাকি। আমাকে যখন তারা ভিডিও করে তখন তারা ২২পিছ ইয়াবা ভিডিও তে দেখায়নি। শুধু আমার ভয়েসসহ আমাকে রেকডিং করেছে ডিবি।

হে গরিবের বন্ধু সাংবাদিক ভাইয়েরা—–অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে,ডিবি পুলিশ আমাকে জোর করে ভিডিও তুলে সে ভিডিও স্যোসাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছড়িয়ে দিয়েছে যা আমার মান-সম্মান ও চরিত্র হননের মত কাজ করেছে ডিবি পুলিশ। ২৭ জুলাই রাতে আমাকে ডিবি পুলিশ কোতয়ালী থানায় বুঝিয়ে দেয়।পরে মিথ্যা তথ্যাবলি দিয়ে কোতয়ালী থানা (জজ মিয়ার নাটক সাজিয়ে) আমাকে ২৮ জুলাই ২০২৩ বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে আদালতে প্রেরণ করে।ওই দিনই আদালত আমাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। গত ৩০ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে ওই মামলায় আমি জামিনে বের হয়ে আসি।

সত্য কথা তুলে ধরা জাতির কর্ণধার সাংবাদিক ভাইয়েরা—-আমার এইসব কথাবার্তা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নহে। তবে আমার মত আর যেন কেউ এভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার না হয় সে জন্য আমার এই বক্তব্য। আমি অনুরোধ করবো আপনাদের কলমের মাধ্যমে প্রশাসন এই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করে আমাকে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করবেন।