পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ভাষা বিলুপ্তির পথে– অংসুইপ্রু চৌধুরী
\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
পার্বত্য অঞ্চলের মাতৃভাষা শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে (চাকমা,মারমা ও এিপুরা) মাতৃভাষার মাধ্যমে পাঠদান বিষয়ক সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে ৭ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয় নন্দন চাকমা,জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার,উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তা আব্দুল হালিম,আগত শিক্ষকবৃন্দসহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথি বলেন, যে জাতির ভাষা ও সাংস্কৃতিক হারিয়ে যায় সে জাতি টিকে থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে ভাষাগত দিক দিয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন, মারমা, এিপুরা ও চাকমা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এ ভাষা যেন বিলুপ্ত না হয় সে দিকে সচেতন থাকতে হবে। চাকমা, মারমা ও এিপুরা ভাষা এবং বর্ণমালার সাথে পরিচয় থাকতে হবে। যেখানে বর্ণমালা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সেখানে ভাষাতো হারিয়ে যাবেই। আপনার ভাষা রক্ষা করতে আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে। প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর বাসায় গিয়ে চচ্চা করা না হলে এ ভাষাকে ধরে রাখা কঠিন হবে। চাকমা,মারমা ও এিপুরা বর্ণ মালার উপর জোর দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহববান জানান।
চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষা প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়টি জেলা পরিষদ অব্যাহত রাখবেন। যারা প্রশিক্ষক ও স্কুল শিক্ষক আছেন সবাই এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। সামাজিক ভাবে, পারিবারিক ভাবে ও বাড়ি ঘরে ছেলে মেয়েদের সাথে নিজস্ব ভাষা বলতে হবে। তবেই এ ভাষা বিলুপ্তির সম্ভাবনা থাকবেনা। শিক্ষক সমাজ চাইলে সমাজে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। ২০১৭ সাল থেকে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। কিন্তু বর্ণ মালা বা ভাষা অগ্রগতি হয়নি। এখানে হতাশ হওয়ার কোন কারন নাই সরকার তিন পার্বত্য জেলায় এসহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আন্তরিক ভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে তা সঠিক ভাবে কাজ লাগানোর তাগিদ দেন।
আজ থেকে রাঙ্গামাটি ১০ উপজেলায় চাকমা ও মারমা সম্প্রদায়ের ৩০০ জন প্রশিক্ষনার্থী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।