॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশুকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিয়ে সাধারণ মানুষ ও জেলা পুলিশের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন রাঙ্গামাটিতে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নুরুল আলম। রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ নুরুল আলম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অভিবাদন পেয়েছেন অনেক বেশী।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৮ জুন বুধবার বিকালে রাঙ্গামাটিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান উল্টো রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি রাঙ্গামাটি সদরস্থ বনরূপা এলাকা হতে রাঙ্গাপানির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর রাঙ্গাপানি এলাকার কাছাকাছি পৌঁছালে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণরত জনৈক তোইসা মনি নামক একটি ছোট বাচ্চা শিশুর পাঁ অসাবধানবসত পিকআপ ভ্যানের চাকার নিচে চলে যায়। এতে বাচ্চা শিশুটি গুরুতর আহত হয়। এমতাবস্থায় গুরুতর আহত বাচ্চা শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য কনস্টেবল নুরুল আলম।
শোভাযাত্রার ফলে সৃষ্ট যানজটের কারনে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নুরুল আলম সিএনজি যোগে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে কোন উপায়ান্তর না দেখে পুলিশ সদস্য নুরুল আলম আহত শিশু বাচ্চাটিকে তার (পুরাতন ট্রাফিকের সাদা হাতা) দিয়ে নিজের শরীরের সাথে বেঁধে মোটর সাইকেলে ভিআইপি হর্ন বাজিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন।
ট্রাফিক পুলিশের এমন মানবিকতায় পুলিশের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা নতুন জায়গা করে নিয়েছে জেলার সাধারণ মানুষের মনে।
এই ঘটনায় আহত শিশুটির পরিবার সহ জেলার সর্বোস্থরের সাধারণ মানুষ পুলিশ সদস্য নুরুল আলম সহ জেলা পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নুরুল আলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ট্রাফিকের দায়িত্ব যখন থেকে আসছি তথন থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে সমাজের কল্যাণে কাজ করার জন্য। আসলে এটা আমাদের কাজের একটি অংশ। ছোটখাট দুর্ঘটনা আমরা সামাল দিয়েছি। রক্তও দিয়েছি অনেক জনকে। আমরা মানবিকতাকে কাছে নিয়েই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছি বলে জানান তিনি।