অল্পের জন্য অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা বেলা কে কে রায় সড়কের বিল্ডিং এর বাসিন্দরা
\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
অল্পের জন্য অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা বেলা কে কে রায় সড়কের একটি বিল্ডিং এর বাসিন্দরা। বিল্ডিং এর নিচ তলায় বৈদ্যুতিক মিটারে আগুন মালিকের বুদ্ধিমত্তায় অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তবে আবেদনের ৪ মাসেও বিদ্যুৎ দিতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ দুটি পক্ষের ঠেলাঠেলি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করেন বাড়ীর মালিক ও স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, ৩ জুন সন্ধ্যায় কে কে রায় সড়কের হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক মিটার ধাও ধাও করে জ¦লে উঠে। এ সময় মালিক তার পোড়া গন্ধ পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে মিটারে আগুন দেখতে পায়। পরবর্তীতে জগৎ জ্যোতি চাকমা বালি ভর্তি বস্তা ছুড়ে মারলে সার্ভিস তার ছিড়ে গেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে বালি দিয়ে মিটারের আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগৎ জ্যোতি বাবু যদি সাহসিকতার সাথে এগিয়ে না আসতো তাহলে আজ অগ্নিকান্ড থেকে কেউ রেহায় পেতাম না। বৈদ্যুতিক তারের আগুনে আজ পুরো পাড়া ঝলসে যেতো। তার বাড়ীতে লাইন লাগবে বেশী কিন্তু একটি মাত্র মিটার দিয়ে পুরো ১২ টি ভাড়াটিয়ার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। যার কারণে লোড নিতে না পারায় এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে।
এদিকে মিটারের বিষয়টি জানতে চাইলে জগৎ জ্যোতি চাকমা বলেন, মিটারের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু দীর্ঘ ৪ মাস ধরে আমাকে বিদ্যুৎ বিভাগ মিটার দিতে পারেনি। তারা আজ বলে এই কথা কাল বলে এই কথা। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে আমার বাড়ীর বিদ্যুতের প্লেন দেয়ার জন্য। তাও দিলাম কোন অদৃশ্য কারণে লাইন পাচ্ছি না তা আমি বুঝতে পারছি না। বিদ্যুৎ বিভাগের তিনিটি গ্রæপ কাজ করে তিনটি গ্রæপের ঠেলাঠেলি ও আর্থিক লেনদেনের কারণে আমরা মিটার পাচ্ছি না। তারা বলছে ট্রান্সফরমারে লোড নেই। কিন্তু একটি পক্ষ বলছে যে লোড আছে এখানে আরো ১০০ মিটারের লাইন দেয়া যাবে। তিনি বলেন, মুল সমস্যা হচ্ছে আমি কেন এই এলাকায় যিনি বিদ্যুতের দায়িত্বে আছে তাকে ধরলাম না কেন ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ এর মাধ্যমে লাইন নেয়ার জন্য কাজ করেছি। সব মিলিয়ে আমিই দোষী।
বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনের সাথে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে তার বাড়ীতে যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে তার কোন প্লান তিনি দিতে পারেনি। কি পরিমান বিদ্যুৎ লাগবে সেই পরিমান প্ল্যানে নেই। সেই সাথে আমাদের ট্রান্সফরমারে লোড না থাকার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারিনি। আমরা ট্রান্সফরমারের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছি আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে ট্রান্সফরমার এসে যাবে। তখন লাইন দেয়া যাবে।