প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলো অনেক এগিয়ে গেছে–দীপংকর তালুকদার এমপি
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক বলেই পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বন্দুকভাঙ্গায় রাঙ্গা বিজগ যুব ক্লাবের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ও মুবাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি একথা বলেন।
৫নং বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমর চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ঝর্ণা খীসা, বিপুল ত্রিপুরা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীপিকা খীসা, সদর আওয়ামীলীগ সভাপতি দীপক চাকমা, সাধারন সম্পাদক সুখময় চাকমা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারমান দূর্গেশ্বর চাকমা, নাসরিন ইসলাম, কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি হীরালাল চাকমা, মুবাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুন জ্যোতি চাকমা, মুবাছড়ি বন বিহারের সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জণ চাকমা প্রমুখ।
দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, রাঙ্গামাটিতে মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সরকার যখন কাজ শুরু করেছিল তখন একটি পক্ষ শান্তি চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা বলে তা বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে বলেই সব বাধা অতিক্রম করে এখানে এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে সক্ষম হয়েছে এবং এর সুফল পার্বত্যবাসী পাচ্ছেন।
দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কারনে বিশেষ বিবেচনায় তিন পার্বত্য জেলাসহ ২০১৭ সালে শুধু রাঙ্গামাটি জেলায় ৮১টি স্কুল জাতীয়করণ করেছে। এই থেকে বুঝা যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের সবার প্রতি কতটুকু অন্তরিক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে রাঙ্গামাটি জেলায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশি আন্তরিকতা রয়েছে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যুতায়নের জন্য ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হলে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকাগুলোকে বিদ্যুৎতের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।