পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে উভয় পক্ষকে সমঝোতার মন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে—- দীপংকর তালুকদার
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে উভয় পক্ষকে সমঝোতার মন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, পাহাড়ে দীর্ঘ দুই দশকের সংঘাত বন্ধ করতে আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্ভর পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেছিল। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক বলেই চুক্তির বেশীরভাগ ধারাই বাস্তবায়িত হয়েছে, যেটুকু বাকী আছে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে শুধু সরকারকে একা আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসলে হবে না চুক্তির আরেক পক্ষকেও একইভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার ২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পুর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারলে ইমতাজ উদ্দিন এনডিসি,পিএসসি, রাঙ্গামাটি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তরিকুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আশিকুর রহমান, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পরিষদ সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ গেইট প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য শান্তি র্যালী বের করা হয়। র্যালীর নেতৃত্ব দেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। র্যালীটি রাঙ্গামাটি কলেজ গেইট থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর লোকজন তাদের নিজস্ব পোষাকে সজ্জিত হয়ে অংশ গ্রহণ করেন।
দীপংকর তালুকদার বলেন, শেখ হাসিনার পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন করে পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের অবসান ঘটিয়েছে। এর আগে অনেকেই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বলেছিল পার্বত্য চুক্তি রাজণৈতিক সমস্য এই সমস্যা এই সমস্যা রাজণৈতিক ভাবে সমাধান করতে হবে। তারই আলোচকে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি সমাধান করেছিল। কিন্তু বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন তখন পার্বত্য চুক্তির পলে কালো পতাকা মিছিল করেছে শেখ হাসিনাকে আসামীর কাঠ গড়ায় দাড় করিয়েছিল। পাহাড়ের এই সকল রাজনৈতিক দল গুলোর কারণে পার্বত্য চুক্তি বাধা গ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু জনসংহতি সমিতি পরবর্তিতে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে আওয়ামীলীগকে পার্বত্য অঞ্চল থেকে নিশ্চিন্ন করার মিশনে নেমেছে। তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তাবায়নে বিরোধীতা নয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসতে তিনি সকল পক্ষকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন।