পাহাড়ের প্রতিটি সম্প্রদায়ের মাতৃভাষা শিক্ষার প্রসার ও সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও ভালোবাসা রয়েছে— দীপংকর তালুকদার
\ নিজস্ব প্রতিবেদক \
পাহাড়ের প্রতিটি সম্প্রদায়ের মাতৃভাষা শিক্ষার প্রসার ও সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও ভালোবাসা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে মোট ২১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে। যার কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গম এলাকার মানুষ শিক্ষাক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, একমাত্র আওয়ামীলীগ সরকারই সারা বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কাজ শুরু করে। যার কারনে শিক্ষায় দেশ আরো এগিয়ে যাচ্ছে।
আজ রাঙ্গামাটিতে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আন্তরিকতায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার ৮১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকুরী আত্মীয়করণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা আইসিটি নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য শিক্ষা প্রিয়নন্দ চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুছাইন চৌধুরী, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ইলিপন চাকমা, দীপ্তিময় তালুকদার, রাঙ্গামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে ক্রেষ্ট ও পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর ট্রেডিশনাল পোষাক উপহার হিসাবে প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য তিন পার্বত্য জেলায় ২১০ টি স্কুলকে ২০১৭ সালে জাতীয় করণ করা হয়। তারমধ্যে রাঙ্গামাটি জেলায় ৮১ টি স্কুল স্থান পেয়েছে। তবে ২০২২ সালে ১৩ এপ্রিল ২১০ টি স্কুলের শিক্ষকদেরকেও আত্মীকরণ করা হয়। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার ৮১টি বিদ্যালয়ের ২৯৩ জন শিক্ষক আত্মীকরণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।