আজকে যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো জাতীর পিতার স্বপ্ন তার হাত ধরে বাস্তবায়ন হতো—-দীপংকর তালুকদার এমপি
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
আজকে যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো জাতীর পিতার স্বপ্ন তার হাত ধরে বাস্তবায়ন হতো বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, জাতীর পিতার অবর্তমানে আজকে দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশের সমতল এলাকার মতো পার্বত্য এলাকাতেও ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে আর তার সুফল সাধারণ জনগণ ভোগ করতে পারছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা ও শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শিমুল ভৌমিক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম প্রমূখ।
আলোচনা সভার আগে শহরের হ্যাপিড় মোড় এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এছাড়া শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে আজ বিকেলে কাপ্তাই হ্রদে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলার ১০টি উপজেলাসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপদগামী সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় তার ছোট ছেলে শেখ রাসেলকেও হত্যা করে। ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে (বর্তমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ) চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন শেখ রাসেল। তার জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর।শেখ রাসেলের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ঘোষণা করে বর্তমান সরকার।