সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চন্দন দেওয়ানের স্ত্রী

রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী চন্দন দেওয়ান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে স্বাবাবিক জীবন যাপন করার জন্য নিজের পিতা ও প্রথম স্ত্রীর কাছে আকুতি ও প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যে, বানোয়াট ও কল্পনা প্রসুত বলে তাই এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বলা হয়, চন্দন দেওয়ানের হতভাগ্য স্ত্রী হই। আমার পিতৃতুল্যবৃদ্ধ শ্বশুড় বন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। আমার স্বশুড় তার জীবেেনর সমস্ত অর্জন বিলিয়ে দিয়েছেন উনার ছেলে মেয়েদের জন্য। তিনি অবসরকালীন সময়ে নাতি-নাতনীদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনাতিপাত করার কথা থাকলেও আমার স্বামী চন্দন দেওয়ানের কারণে সুখী হতে পারছেন না। আমাকে বিয়ের আগে থেকে আমার স্বামীর বেপরোয়া আচরণ কথা আমার বিবাহের পরে লোকমুখে জানতে পারি। বিয়ের কিছুদিন অতিবাহিত হরেলও তার স্বরূপা আমার কাছে উন্মোচন হয়ে যায়। তার চাপের কারণে আমি আমার বাপের বাড়ী থেকে তাকে দফায় দফায় অনেক টাকা এনে দিয়েছি। সে নেশায় ডুবে থাকে পরবর্তীতে আমিও তার সব কিছু সম্পর্কে অবগত হয়ে যায়। বর্তমানে জনৈক মহিলাকে নিয়ে আমাদের পরিবারের মান সম্মান ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে। অথচ আমার বড় মেয়ে নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ন রত। আমার শ্বশুড় একজন পেনশনভোগী বয়োবৃদ্ধ মানুষ্, টেনশনে ভোগার মতো অবস্থায় তিনি নেই। তিনি আমাদের সন্তানদের দেখাশোনা করা এই বয়সে তার জন্য খুবই কঠিন কাজ।
অথচ আমার স্বামী চন্দন দেওয়ান নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার মহিলা পাল্লায় পড়ে আমাদেরকে আমার শ্বশুড় মহাশয়ের উপর তুলে দেয়। এমনকি বিতর্কিত ঐ মহিলাকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। আমার শ্বশুড় একজন পেনশনভোগী মানুষের পক্ষে এতবড় সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। একইভাবে চন্দন দেওয়ান বেপরোয়া চলবে, আর তার সন্তানরা না খেয়ে থাকবে তা দেখে থাকা উনার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা সেটা বুঝতে পেরে ধুরন্ধর চালাক চন্দন দেওয়ান সেই সুযোগ নিয়ে আমাকে আমার দেবতা তুল্য শ্বশুড় ও উনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ইমোশনাল ব্লাক মেইল করে আসছে।
চন্দন দেওয়ান রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের কর্মরত একজন জারিকারক। তার বেতনের চেয়ে কয়েকগুন বেশী নেশার টাকার প্রয়োজন। সই কারণে আমি ও আমার শ্বশুড় পরিবারকে সমাজকে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে দফায় দফায় লাঞ্ছিত হতে হয়।
মানুষের কাছ থেকে অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় কখনো সখনো আমার এবং শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর বড় ধরনের রোগাক্রান্ত অজুহাত তুলে ধরে। যা প্রমানিত সত্য। এই ধরনের নেক্কার জনক ঘটনা গুলোর সাথে নতুন করে যুক্ত হলো। উর্বি মারমার সাথে তার সখ্যতার বিষয়টি। আমার স্বামী সব সময় মিথ্যাকে সত্যের মতো গল্লা করে বলার খুব পারদর্শী।
উল্লেখ্য যে, আমি একজন গৃহবধু। আমার শ্বশুড় পেনশনভোগী বয়োবৃদ্ধ মানুষ। আমার কোন যুক্তিতে তার জীবনের জন্য হুমকী হতে পারে না। অথচ বালখিল্যাতা বিষয়ে একটি কাল্পনিক ও বানোয়াট নিউজ প্রকাশ করেছেন তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধ হিসেবে গন্য হয়। রাখী দেওয়ান, কল্যাণপুর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।

প্রতিবেদকের বক্তব্য
সংবাদে প্রতিবেদক কোন প্রকার নিজস্ব মতামত নেই। চন্দন দেওয়ানের দেয়া কাগজপত্র ও তার বক্তব্যের ভিত্তিতে সংবাদদাদাতা সংবাদটি পরিবেশন করেছে মাত্র।