রাঙ্গামাটির ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী চন্দন দেওয়ান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য নিজের পিতা ও প্রথম স্ত্রীর কাছে আকুতি ও প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন

রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটির ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী চন্দন দেওয়ান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য নিজের পিতা ও প্রথম স্ত্রীর কাছে আকুতি ও প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন। তিনি বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী থাকা স্বর্থেও দ্বিতীয় বিয়ে করা আমার অপরাধ হয়েছে সেটা সমাজের সকলেই বলবে। কিন্তু আমি দ্বিতীয় বিবাহ করার পূর্বে আমার স্ত্রী থেকে লিখিত কোন পত্র না নিলেও প্রথম স্ত্রীর মৌখিক অনুমতি নিয়ে আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে সম্মান দিয়েছি। বর্তমানে আমার প্রথম স্ত্রী যেমন আমার সকল কিছুর দাবীদার তেমনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীও আমার সকল কিছুর দাবীদার। আমি কারো সম্মান হানি করতে চায় না। কিন্তু আমার প্রথম স্ত্রী ও আমার পিতার আমাকে সমাজে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা অভিযোগ দিয়ে আমার সম্মান হানি করছে এবং আমার জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। তাদের কথা মতো আমাদের সকল আত্মীয় স্বজন জেলা প্রশাসনের চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও তাদের বোঝানো হলেও তারা কোন কিছুতেই বুঝতে রাজি হচ্ছে না। এছাড়া আমাদের চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী কর্মচারী সমিতির রায়কেও আমি মাথা পেতে নিয়েছি। তাদের রায় ও আমি সব মেনে চলতে বাধ্য থাকিব। আমার চতুর্থ শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতির রায় কোন ভাবে বরখেলাপ করলে আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়ে তা আমি মাথা পেতে নিব। তিনি বলেন, তাদের অতীষ্ট হয়ে যে কোন মুহুর্তে আমার যে কোন দুর্ঘটনা হলে আমার প্রথম ঘরের তিন সন্তান পিতৃহারা হবে। তাই পিতা এবং আমার প্রথম স্ত্রীর কাছে আমার জীবন ভিক্ষা চাইছি।

সরকারি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতিতে দেয়া বিচারে যা বলা হয়, রাঙ্গামাটির ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী চন্দন দেওয়ানের ২য় বিবাহের কারণে উভয়ের সমস্যার সমাধানে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ৪র্থ শ্রেণী সরকারি কর্মচারী সমিতি উভয় পক্ষকে ডেকে তাদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। উভয় পক্ষের সুধিার্থে এবং তাদের যাতে কোন ধরনের দ্বন্ধ তৈরী না হয় সে জন্য কিছু সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়।

উক্ত সভায় উভয়ের বক্তব্যের আলোকে বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেনী সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো সিরাজুল হক সিন্ধান্ত নেন,

১.) চন্দন দেওয়ান নিজে ৩ সন ও ২ সন্তান পরিবারের সদস্য ৬জন। তার প্রাপ্ত বেতন ছয় জনের মধ্যে সমান ভাগে জন প্রতি ১৩০০ হাজার টাকা তার ১ম স্ত্রীকে ভরন পোষণ বাবদ প্রদান করবেন।

২) চন্দন দেওয়ান কর্তৃক ব্যাংকে চাহিত লোন প্রাপ্তির পর সন্তানদের বিগত তিন মাসের বিদ্যালয়ের এবং শিক্ষকদের বকেয়া এককালিন ৩০ হাজার টাকা তার ১ম স্ত্রীকে প্রদান করবেন এবং স্ত্রী সন্তানাদি রোগব্যাধি হলে চন্দন নিজ খরচে চিকিৎসা করাবেন।

৩) চন্দন দেওয়ানের ১ম স্ত্রী কর্তৃক চন্দন দেওয়ানের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের বরাবরের দাখিলকৃত অভিযোগ সহ চন্দন দেওয়ানের সোনালী ব্যাংক হতে লোনের আবেদনের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন।

আমি সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও আমার পিতা এবং আমার প্রথম স্ত্রী সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছে না। তারা এই সিদ্ধান্ত মেনে না নেয়ার কারণে আমি এবং আমার প্রথম স্ত্রী দুজনই সমস্যার মধ্যে আছি। তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় স্ত্রী বর্তমানে অন্তসত্তা। তাহলে আমি কিভাবে আরেকটি নারীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করি। সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে আমি দুই নারীর স্বামী হলেও আমি দুই স্ত্রীকে সমান ভাবে তাদের প্রাপ্ত সম্মান দিতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। তাই আমার পিতা এবং আমার প্রথম স্ত্রীর কাছে আমার স্বাভাবিক জীবন ভিক্ষা চেয়ে তাদের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।