পার্বত্য এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য যে কাজ করছি তা বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী চিন্তা ধারার ফসল—-নিখিল কুমার চাকমা
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে জাতিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই—–আজিজুর রহমান আজিজ
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে পদ্মাকন্যা শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পিস এন্ড হামমোনি ট্রাস্ট, ঢাকা এর আয়োজন প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা-কে নিয়ে রচিত গীতি আলেখ্য ও বহুভাষিক আবৃত্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও সাবেক সংস্কৃতি সচিব আজিজুর রহমান আজিজ। এসময় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
এসময় অনিষ্ঠানের প্রধান আলোচা মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ, রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ প্রতিনিধি ডিআই১ আব্দুলল্লাহেল বাকী, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্ট এর সাধারণ সম্পাদক আনিস মুহাম্মদ, রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট পরিচালক রুনেল চাকমা প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, আজকের যে অবস্থাতে আসছি আমরা, তা আসতে পারতাম না যদি বঙ্গবন্ধু সুদূর প্রসারী চিন্তাধারা না থাকতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী চিন্তা ধারার কারণে আজকে আমরা এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য যে কাজ করছি তা বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী চিন্তা ধারার ফসল। তিনি আরো বলেন, যে জাতির ভাষা থাকবে না, সে জাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যে জাতি ভাষা থাকবে সে জাতি বেঁচে থাকবে অনন্ত কাল ধরে। তাই নিজেদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক রক্ষা করতে হলে ভাষা ও সাংস্কৃতির চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও সাবেক সংস্কৃতি সচিব আজিজুর রহমান আজিজ ভার্চুয়ালে অনুষ্ঠানে যোগদিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে জাতিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। এ দেশে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বসবাস। কখনো কারো সাথে জাতিগত দ্বন্দ্ব হয় না। সকলকে এই সম্পৃতির বন্ধন অটুট রাখতে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে গীত রচনা ছিলেন, আনিস মুহম্মদ, গ্রন্থনা, সুরারোপ ও পরিচালনায় ছিলেন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও রাঙ্গামাটি সুর নিকেতন প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর গুর্খা। আর সঙ্গীত পরিবেশন করেন, রাঙ্গামাটি সুর নিকেতন শিল্পীবৃন্দরা। এসময় বহুভাষিক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ওপার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কবিবৃন্দ আবৃত্তির মাধ্যমে দর্শককে মাতিয়ে রাখেন।