জুরাছড়িতে কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যবান্ধব সেবা সহজীকরন বিষয়ে ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা শুরু

রাঙ্গামাটি

পার্বত্য দূর্গম এলাকার জনগণকে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুসংগঠিত হতে হবে—-ইউএনও জিতেন্দ্র কুমার নাথ

॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥

রাঙ্গামাটির দূর্গম জুরাছড়িতে সহিংসতামুক্ত ও মর্যদাপূর্ণ জীবনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের যুবতী ও কিশোরী মেয়েদের ক্ষমতায়ন “যুবনারী ও কিশোরীদের যৗন ও প্রজননস্বাস্থ্য বান্ধব মানসম্মত সেবা সহজীকরন” বিষয়ে মাঠপর্যায়ে গণস্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৯ আগষ্ট) সকালে জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে জুরাছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অনন্যা চাকমা, জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবুল খায়ের, নারী প্রগতি সংঘের মাষ্টার ট্রেইনার রিমি চাকমা, প্রোগ্রেসিভ এর প্রোগ্রাম অফিসার (ট্রেইনার) এন্টীনা চাকমা, প্রোগ্রেসিভ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত খীসা প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিনার্থীদেরপ্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীতেন্দ্র কুমার নাথ প্রশিক্ষণের জ্ঞানগুলো লব্ধ করে পার্বত্য দুর্গম এলাকার জনগণ যাতে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পায় সে লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের সুসংগঠিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া দেশের প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে কেউ যাতে বাদ না পরে সে লক্ষে কাজ করতে বলেন। তিনি আরো বলেন, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও দূর্গমতার কারণে এখনো প্রত্যান্ত গ্রামগুলোতে বাল্যবিবাহ হয়ে থাকে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় গুরুদের সম্পৃক্ত করে তাদের মাধ্যেমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সাধারন জনগনকে জানাতে হবে।

প্রাগ্রেসিভ এর কর্মকর্তা সুব্রত খীসা বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে গার্লস ক্লাবের মাধ্যমে কিশোরী এবং তাদের অভিভাবকদের বাল্য বিবাহ নারীর ক্ষমতায়নসহ স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রদান করা হচ্ছে।

বাস্তবে দেখা যায় এখনো পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে বাল্য বিবাহ সংগঠিত হয়ে থাকে। এসব বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য প্রোগ্রেসিভ কমিনিউটি লিডারশীপ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নিয়ে জনসচেতনতা গড়ার লক্ষ্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারই একটি অংশ হিসেবে এই তিনদিনের প্রশিক্ষণ থেকে সঠিক জ্ঞান লব্দ করে জনগণ এর সুফল টুকু পায় সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।