॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
লংগদু উপজেলার ৪ নং বগাচতর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী ও নব্য আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন তার গায়ের জোরে পরিবেশ নষ্ট করে অন্য ব্যক্তির রেকডীয় জমির পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রাস্তা নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে শতাধিক একর জমির ধান সহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে পক্ষ বিপক্ষের মাঝে বিরোধ দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয় ব্যক্তিরা। এই অবস্থায় রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে কাজ করা না গেলে সংঘর্ষে প্রাণহানী সহ বিরোধ আরো চরম আকার ধারণ করবে।
স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাজুল ইসলাম সহ স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসী জানেনা এখানে রাস্তা হচ্ছে। অন্যের জায়গায় পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ জমি দখল, পরিবেশ নষ্ট ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ভূমিদস্যু নামে পরিচিত এই হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নব্য নেতা আমির হোসেন মোল্লা। স্থানীয়রা আরো বলেন, এরাস্তা জনকল্যাণকর নহে। তার একটি ইট ভাটা রয়েছে। রাস্তার কারনে ইট ভাটা টি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আগামী মৌসুমে ইট ভাটা করার পায়তারা হিসাবে মানব শূন্য এলাকায় রাস্তাটি নির্মাণের রাস্তাটি করা হয়েছে। আমির হোসেন তার অপ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ক্ষমতার বলে শত শত একর জমির ধান নষ্ট করতে এ রাস্তা নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন রাস্তাার প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ার সময় বলে দিয়েছেন বিতর্কত বা ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় রাস্তাা হবে না। তার পরেও রাতের আধারে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করছে আমির হোসেন মোল্লা। এভাবে রাস্তা নির্মাণ না করতে বারন করছেন ইউএনও লংগদু ও উপজেলা চেয়ারম্যান। যদি রাস্তা করতে না পারে তাহলে স্থানীয় লোকজনদের বিভিন্ন ভাবে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আমির হোসেনের ক্যাডার বাহিনী। কাউকে তোয়াক্কা কের না জাকির হোসেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। তাই পাহাড় কাটা বন্ধসহ জাকির হোসেনের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
আমির হোসেন মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তা নির্মাণে কারো ক্ষতি হবে না। রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে জনস্বার্থ্য।ে এই এলাকায় পাহাড়ী বাঙ্গালী অনেক পরিবার রয়েছে। এমনকি উপরের এলাকার লোকজনও গরু, ছাগল, সহ বিভিন্ন গবাদি পশু এই রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া করে। রাস্তার নিজে পানি নিস্কাসনের জন্য পাইপ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা একটি সিজন দেখি। যদি রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন হয় তাহলে আমার টাকা দিয়ে করে দিবো। আমার একার জন্য এই রাস্তা করা হয়নি। জনগনের উপকারের জন্য এই রাস্তা করা হয়েছে। সরকার কবিয়লতে লিখে দিয়েছে যে সরকার যখন চাইবে জায়গা দিতে হবে। আমি আমার প্রয়োজনীয় রাস্তা করি নি এখনো বলছি। জনগন চেয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন আমাকে দিয়ে রাস্তাটির কাজ করাচ্ছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার জানান, রাস্তাটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে কারো ক্ষতি করতে নয়। তাকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি। আমির হোসেন মোল্লা সে নিজেও বলেছে তার জমিতে থেকে মাটি এনে রাস্তা নির্মাণ করবে। সে অযথা অন্যের পাহাড় থেকে মাটি কেটে বিরোধটি সৃষ্টি করছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।