অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সমাজের মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে–নিখিল কুমার চাকমা
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
অটিজম ও প্রতিবন্ধি শিশুরা আমাদের সমাজের অংশ। তাই তারা যাতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে পারে এবং সমাজের মূল¯্রােতধারার তাদের অর্থবহ অবদান রেখে যেতে পারে তার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। তিনি বলেন, অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের সুপ্ত প্রতিভা ও সম্ভাবনার সর্বোচ্চ বিকাশ এবং তাদের জীননযাপনের মান উন্নয়নে লক্ষ্যে শিক্ষায় ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের আওতায় সোসাইটি ফর দি ওয়েলফেয়ার অব অটিষ্টিক চিলড্রেন (সোয়াক) যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সোয়াক যে কাজ করছে তার পাশে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সোসাইটি ফর দি ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক) এর গিরিফুল প্রজেক্টের উদ্যোগে রাঙ্গামাটিতে অটিজম ও অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোয়াকের চেয়ারপার্সন মিসেস সুবর্ণা চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশ্বজীত চাকমা, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল প্রমুখ।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গিরিফুল প্রজেক্ট প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, মোঃ মফিজুল ইসলাম।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজমের উপরে প্রচুর কাজ করেছেন। এতে করে অটিজম নিয়ে জাতীয় সচেতনতা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের নিয়ে যে ধরনের নেতিবাচক মনোভাব ছিলো সেটি থেকেও আমরা মুক্ত হতে পেরেছি। যা প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজম সচেতনতা আন্দোলনের একটি বড় অর্জন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সোয়াকের চেয়ারপার্সন মিসেস সুবর্ণা চাকমা বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পুনর্বাসন ও আত্মনির্ভরশীল করার সোয়াকের প্রচেষ্টায় সর্বাত্বক সহযোগিতা আহবান জানান। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সকল বিশেষ শিশু ও ব্যক্তিরা আমাদের সমাজে উপযুক্ত মর্যাদা সহকারে যাতে জীবন যাপন করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণেরও আহবান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে সোয়াকের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, সোয়াকের অভিভাবকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।