॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি ৪টি উপজেলার জাতীয়করণ কৃত ৮১ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় শিক্ষকরা খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচছা জানান।
১৮ এপ্রিল সোমবার দীপংকর তালুকদারের বাস ভবন ও অংসুইপ্রু চৌধুরীর বাসভবনে গিয়ে ফুলেল শুভেচছা জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈসাবির দিনে পার্বত্য বাসীর জন্য সুখবর দিয়েছে। এ জন্য ৮১ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা জীবন সাজিয়ে দিয়েছেন। এতো বড়ো উপহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, জাতীয়করণ কৃত শিক্ষক অরুন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, শিক্ষক অংশিলা মারমা সহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অনগ্রসর ও স্কুল বিহীন দুর্গম এলাকা গুলোতে ইউনিডিপির মাধ্যমে জেলা পরিষদ বেশ কিছু স্কুল স্থাপন করে। এই স্কুলের মাধ্যমে দুর্গম এলাকার কোমল মতি ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখে দীর্ঘদিন ইউএনডিপি। কিন্তু দীর্ঘদিন পর এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সরকার ১৭ সালে স্কুল গুলোকে জাতীয় করণের আওতায় নিয়ে আসে। সেই সুবাদে গত ১৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে শিক্ষকদেরকেও জাতীয় করণের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তিনি বলেন, এই স্কুল গুলো জাতীয় করণ করতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের অবিসংবাদিত নেতা দীপংকর তালুকদারের অক্লান্ত পরিশ্রমে রিজার্ভ ফরেষ্টে স্থাপিত স্কুল গুলো স্কুলের নামে জায়গা বন্দোবস্তী করে দেয়া হয়। এই কথা গুলো আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা যেমন আপনাদেরকে উপহার দিয়েছে তেমনি আপনাদেরও তার মর্যাদা রাখতে হবে।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী, পার্বত্য মন্ত্রী ও পার্বত্য অঞ্চলের অহংকার দীপংকর তালুকদারের অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো বলেই আপনারা আজ সরকারী শিক্ষক। আপনাদের কল্যাণে আমরা সব সময় আছি। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের কথা চিন্তা করে বলেই আপনারা আজ আলোর মুখ দেখেছেন। আগামীতে আর মার্যাদা রাখতে হবে।
খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার অবদান ভুলতে পারবে না পার্বত্য বাসী। তিনি এই অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল তৈরী করে দিচ্ছে। কিন্তু একটি শ্রেণী আছে আওয়ামীলীগকে তারানোর প্রচেষ্টায়। আমরা বলেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করেছে। সেই চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আর্শিবাদ করতে হবে। আগামী দিন গুলোতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে আপনাদেরকেও ভ’মিকা রাখতে হবে।