দুুইপক্ষের গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত, আহত-২, বিপুল পরিমার অস্ত্র উদ্ধার
॥ নন্দন দেবনাথ ॥
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো রক্ত ঝড়লো পাহাড়ে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো ৩ জন এবং আহত হয়েছে আরো ২ জন। মঙ্গলবার ২২ মার্চ রাঙ্গামাটি বান্দরবান সীমান্তবর্তী পাইন্দং পাড়ায় এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিবার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো থেমে থেমে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটছে বলে স্থাণীয় গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে। এই ঘটায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এই ঘটনায় পুরো পাহাড়ী এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাঙ্গামাটি বান্দরবান সীমান্তবর্তী পাইন্দং পাড়ায় এলাকায় মগ লিবারেশন আর্মির সদস্যদের যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ করে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান নেয়া অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাদেরকে লক্ষ্যে করে গুলি বর্ষন করে। এতে ঘটনা স্থলেই মগ পার্টির তিন সদস্য নিহত ও দুই সদস্য আহত হয়। পরে উভয় পক্ষই বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ঘটনাস্থলে হতাহতের ঘটনা আরো বাড়তে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
গোলাগুলির ঘটনায় নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম অং থোয়াই মার্মা (৪৫)। তিনি জামছড়ির থাংকুই পাড়ার থুই খয় মিঙ মার্মার ছেলে। নিহত অং থোয়াই মার্মা এমএনপির গাইড ছিলো বলেও জানা গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনা স্থলে রওনা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে পুলিশ রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন বলেন, ‘বান্দরবান-রাজস্থলী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাগুলি ও বন্দুকযুদ্ধের একটি সংবাদ আমরা পেয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এই এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। তারা না পৌঁছানো অবধি কিছু বলতে পারছিনা। আবার ঘটনাস্থলটি কি বান্দরবানের রাজভিলা নাকি রাজস্থলী পাইন্দ্যংপাড়া, সেটাও এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি এখনো আমরা। আগে নিশ্চিত হই,তারপর আপনাদের জানাতে পারবো।