করোনায় থমকে গেছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিশুদের মাতৃভাষা শিক্ষা কার্যক্রম, একে ঢেলে সাজাতে হবে—অংসুইপ্রু চৌধুরী

রাঙ্গামাটি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

করোনায় থমকে গেছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিশুদের মাতৃভাষা শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অন্যান্য বিষয়গুলো শিখানো হলেও মাতৃভাষার বিষয়গুলো শিখানো হয়নি। ফলে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া শিশুরা মাতৃভাষা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজার হাজার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিক্ষার্থী। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণ ঘটানোর জন্য মাতৃভাষায় পড়ানোর দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।

রবিবার ১৬ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জেলার প্রাথমিক শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা, জেলা শিক্ষা অফিসারদের নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষার শিক্ষার অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এ কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, পরিষদের সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা, অংসুই ছাইন চৌধুরী, রেমলিয়ানা পাংখোয়া, আব্দুর রহিম, ইলিপন চাকমা, প্রবর্তক চাকমা, নিউচিং মারমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, কাউখালী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানস মুকুর চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীপিকা খীসা, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মংসানু চৌধুরী, নিরূপা দেওয়ান, প্রছন্ন কুমার চাকমা,

শিক্ষকরা বলেন, বিদ্যালয়ে মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হলেও শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ে শিশুদের বই বিতরণ করা হলে শিক্ষকদের দক্ষতার অভাবে তা শিশুদের পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের তৈরী করার আহবান জানান।

সভায় রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা বিদরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষকরা আরো বলেন, বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষার বই পড়ানো হয়। এটি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বাড়ানো দরকার। এটি হলে শিশুরা সহজে ভুলে যাবে না।

এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে অচিরেই ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সরকার যে উদ্দ্যেশ্যে মাতৃভাষায় বই প্রচলন করেছে সে উদ্দ্যেশ্যে পুরণ হবে না।

শিক্ষকরা আরো বলেন, অনেক এলাকায় মাতৃভাষার বই দেওয়া হয়েছে কিন্তু এগুলো দিয়ে পাঠদান করার মত শিক্ষক নেই।