আ’লীগের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে নানান গুনঞ্জন সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন জেলার ৩উপজেলায়

বিবিধ

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

আসন্ন সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন রাঙ্গামাটি জেলার ৩টি উপজেলায় আ’লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল পর্যায়ে নানান গুনঞ্জন শুরু হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে মনোনয়নপত্র দাখিলের মধ্য দিয়ে ৩ উপজেলার ইউপি নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। এ ৬টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়বেন। বাকি ২ ইউনিয়ন বঙ্গলতলী ও সরোয়াতলী স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন।

দলীয় সূত্রে জানাগেছে, নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন-রপকারী ইউপিতে শ্যামল চাকমা, আমতলী ইউপিতে মোঃ রাসেল চৌধুরী, খেদারমারা ইউপিতে বিশ্বজিৎ চাকমা ,মারিশ্যা ইউপিতে অমর নাথ চাকমা, সাজেক ইউপিতে গরেন্দ্র ত্রিপুরা ও বাঘাইছড়ি ইউপিতে অলিভ চাকমা। এদিকে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএস ও ইউপিডিএফ থেকে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য প্রক্রিয়া সহ সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এব্যাপারে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কেউ মূখ খুলতে নারাজ। তবে তারা ইউপি নির্বাচনে শতভাগ অংশ গ্রহন করবেন। অপরদিকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের ভয়ে আছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। কারন পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।

লংগদু উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন যারা- আটারকছড়া ইউপিতে
অজয় চাকমা(মিত্র),কালাপাকুর্জ্যা ইউপিতে মোঃ মোস্তফা মিয়া,গোলশাখালী ইউপিতে মোঃ শফিকুল ইসলাম,বগাচত্বর ইউপিতে মোঃ আবুল বাসার, ভাসান্যাআদম ইউপিতে মোঃ ইসমাইল হোসেন, মাইনী মূখ ইউপিতে মোঃ আবদুল আলী ও লংগদু সদর ইউপিতে রতন কুমার চাকমা। জুরাছড়ি উপজেলার তিনটি ইউপিতে সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিন্টু চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপিতে উজ্জল কুমার চাকমা ও মৈদং ইউপিতে বীরঙ্গঁ লাল চাকমা।

তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ ও ভোটারা বলেন, আওয়ামী লীগ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই করতে ভুল করেছেন। অযোগ্য, নানান ভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি,অনিয়ম দুনীতি করছে এমন ব্যক্তিকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। উপজেলা,জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পর্যন্ত প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়ম করা হয়েছে। এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আগামী ৭ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে। নির্বাচন সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হলে তারা কেউ নির্বাচনে জিতে আসতে পারবে না।