॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি পিডিবির বিতরণ বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে অবৈধ সংগযোগ প্রদানের মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিস্টাম লসের এই টাকা গুনতে হচ্ছে রাঙ্গামাটির বৈধ গ্রাহকদের। বৈধ গ্রাহকরা ভুতুড়ে বিল সহ বিভিন্ন বিলের বোঝা বহন করছে গ্রাহকরা। এছাড়া গ্রাহকদের মিটার দেয়ার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। অনেক ঘরে লাইন দেয়া হয়েছে কিন্তু কোন প্রকার মিটার ছাড়াই। এই দুর্নীতি মুক্ত করে গ্রাহক হয়রানী বন্ধের দাবী জানিয়েছেন বৈধ গ্রাহকরা।
রাঙ্গামাটির সাধারণ গ্রাহকরা জানান, রাঙ্গামাটি বিতরণ বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তা রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লাইন দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একজন বৈধ গ্রাহক একটি বৈধ লাইন পেতে তাকে দিনের দিন দিন ঘুরতে যেমন হয় তেমনি অসংখ্য কাগজপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু বৈধ লাইন পেতে লাগছে মাত্র কয়েক হাজার টাকা। যা থেকে প্রতি মাসে বিশাল অংকের একটি টাকা চলে যাচ্ছে অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, রাঙ্গামাটি শহরে এখন অনেক অবৈধ লাইন রয়েছে। যা থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কর্মকর্তারা। মিটার লাগানোর পর সুরক্ষা সিল লাগানো হয় না। যে সকল মিটারে সিল লাগানো হয় না সেই সকল বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া পিডিবির নিয়ম অনুযায়ী পোল থেকে যে কোন সংযোগে ৩০ মিটার তারের মাধ্যমে সংযোগ দেয়া হয়। কিন্তু রাঙ্গামাটি শহরের বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ৭ থেকে ৮ কয়েল তার দিয়ে সংযোগ প্রদান করেছে।
রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদী, শিমুলতলী, রূপনগর, আরশি নগর সহ বিভিন্ন এলাকায় বৈধ লাইন দিয়ে ব্যাপক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে বিতরণ বিভাগ বিভাগ রাঙ্গামাটি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে মিটার সংযোগ প্রদান করে সিল না লাগানো সহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি লাইন লাগানোর নামে বিশাল অংকের টাকা যেমন নিচ্ছে তেমনি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের মাধ্যমে লাইনের কাজ না করিয়ে বাইরের কিছু মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এতে অফিসের কর্মকর্তাদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে বিতরণ বিভাগ বিভাগ রাঙ্গামাটি উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ এরশাদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির সংযোগ দেয়া খুবই কষ্ট সাধ্য। একটি পোল থেকে এক একটি ঘরের দুরত্ব অনেক তারপরও গ্রাহক সেবা প্রদান করতে আমাদেরকে অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়। অনেক ঘরের আমরা লাইন দিতে গিয়ে কিছু বেশী তার লেগেছে। তিনি বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। গ্রাহক সেবা দিতে গিয়ে আমাদেরকে বাইরের কিছু লোককে দিয়ে কাজ করাতে হয়। তিনি বলেন, এখানে কোন প্রকার দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়নি।
এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জালাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে অবৈধ সংযোগ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। যারা অবৈধ সংযোগ দিচ্ছে বা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, গতকাল ও আমরা বেশ কিছু অবৈধ লাইন খুলে নিয়ে এসেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমরা তারাতরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।