॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালা রবিবার (২১ নভেম্বর) সকালে পরিষদের সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জনাব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার বলেন- আজকের কর্মশালাটি মূলত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে আলোচনা। আপনারা জানেন আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই আমাদের সকলেরই অফিস আদালতে গুড প্রাকটিস করা প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন আইনে দুর্নীতি শব্দটি নিয়ে পরিষ্কার কোন ব্যাখ্যা না থাকলেও আমি মনে করি শাব্দিক অর্থে নীতিহীন কাজই দুর্নীতি। দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য দন্ডবিধি দেওয়া আছে যা দুর্নীতি দমন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতির হার অনেকটা কমানো যায়। আবার মাঝে মাঝে প্রযুক্তির অপব্যবহারেও দুর্নীতি হয়ে থাকে। পুরোপুরি আইন দিয়ে দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়। তাই আমাদের আত্মশুদ্ধি দরকার আমাদের পরিবার থেকে শুরু করা উচিত। আবার পরিবারে বাবা-মা দের পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে। যদি আমাদের অফিসে দুর্নীতি দেখতে পাই তাহলে তা প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন যা দিয়ে আমরা অনায়াসে স্বচ্ছলভাবে চলতে পারি। আবার সরকারি চাকরিজীবিদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। চাকরিতে অবসরে যাওয়ার পরেও তারা পেনশন নিয়ে ভদ্রভাবে চলতে পারে। তারপরও কেন আমাদের সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি হবে। অফিসে কিছু কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। আগে নিজেকে ভালো হতে হবে। সেবাকে সহজ করা হোক। যারা ভালো করছে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হোক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে Time Cost and Visit কমানো যায়। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের কাজগুলো সহজতর করতে পারি। যারা স্টেকহোল্ডার আছে তাদের আমরা বিনাপ্রতিবন্ধকতায় সেবা দিতে পারি। যদি সৎ ইচ্ছা থাকে তাহলে আমরা দুর্নীতি কমিয়ে ফেলতে পারবো। অন্যের অফিসে কি হচ্ছে তা ভাবার দরকার নেই। আমার অফিসে কি হচ্ছে সেটার খেয়াল রাখলেই হলো। সবাই খাচ্ছেতো আমি কেন খাবো না এই দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করতে হবে।
আমি আশাবাদী সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তিনি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনে সহায়তার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উদয়ন দেওয়ান, পরিষদের সদস্যবৃন্দ, হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা এবং পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।