রাঙ্গামাটিতে রিভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জোর দাবি
। নিজস্ব প্রতিবেদক ।
রাঙ্গামাটিতে তিন দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সকালে “মুজিব বর্ষে শপথ করি, দূর্যোগে জীবন-সম্পদ রক্ষা করি” প্রতিপাদ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়।
রাঙ্গামাটি জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, প্যানেল মেয়র কালায়ন চাকমা, রাঙ্গামাটি পেট্রোল পাম্প সমিতির সভাপতি মুনিরুজ্জামান মহসিন রানা, প্রতিবন্ধি পূর্ণবাসন কেন্দ্রের পরিচালক নূরুল আবছারসহ জনপ্রতিনিধি, রেড ক্রিসেন্ট কর্মী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম কর্মীরা।
এর আগে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় ও বিভাগীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের পিতৃ বিয়োগে শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং কোরআন তেলোয়াত, গীতাপাঠ ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় বক্তারা রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বিপদকালীন সময়ে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মানুষের জানমাল রক্ষায় এগিয়ে আসেন। গত ২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক পাহাড় ধ্বস হয়েছে। সেখানে রাঙ্গামাটিতে শতাধিক মানুষ মাটি চাপা পড়ে মারা যায়। সে সময়ে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা ছিল অনন্য। দিনরাত মানুষের সেবা করে গেছে। তাদের কর্ম দক্ষতার কারণে আরো কয়েকশ মানুষ ভয়াবহ পাহাড় ধ্বস থেকে জীবন ফিরে পেয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, রাঙ্গামাটির অধিকাংশ ঘরবাড়িগুলো কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে। অনেকগুলো এলাকা আছে যেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়া মুশকিল। সেসব জায়গায় আগুন লাগলে দমকল বাহিনী পৌছানোর আগেই ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাই রিভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য জোর দাবি জানান এবং অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপণ কার্যক্রম সর্ম্পকে জনসাধারণকে অবহিতকরণ ও সচেতনতা সৃষ্টি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে অগ্নি নির্বাপক সর্ম্পকে রাঙ্গামাটির দমকল বাহিনীর চৌকস কর্মীরা বিভিন্ন মহড়া প্রদর্শন করেন।