নানিয়ারচর ১৮ মাইলে শাসনোদ্বয় বন বিহারের ১৩তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

রাঙ্গামাটি

। শিপ্রা দেবী

নানিয়ারচর ১৮ মাইলে শাসনোদ্বয় বন বিহারের ১৩তম শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, অষ্ট পরিস্কার দান, বৌদ্ধমুর্তিদান, ধাতু দান, কঠিন চীবর দান, সঙ্ঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, আকাশ প্রদীপ দান, পিন্ড দান, কল্পতরু দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দানানুষ্ঠান শেষ হয়েছে।
কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও পরিনির্বাণপ্রাপ্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবিরের প্রধান শীর্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। আরও উপবিষ্ট ছিলেন শ্রীমৎ সত্য প্রেম মহাস্থবির, বেনুবন অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ পন্থক মহাস্থবির, শ্রীমৎ মেত্তাবংশ মহাস্থবির, ১৮ মাইল বন বিহারের অধ্যক্ষ কৌন্ডিন্য স্থবির সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আমন্ত্রিত ভিক্ষু সঙ্ঘ।

সকাল পর্বের অনুষ্ঠানে দেশনা প্রদান করেন শ্রীমৎ মেত্তাবংশ মহাস্থবির, শ্রীমৎ সত্য প্রেম মহাস্থবির, শ্রীমৎ সত্যপ্রেম মহাস্থবির।

শ্রীমৎ সত্যপ্রেম ভান্তে দেশনায় বলেন, জন্ম, ব্যাধি, মরণ ও দুঃখ ছাড়া সুখ নেই। এই দুঃখ থেকে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায় হলো পঞ্চশীল পালন করা। পূণ্যই সুখ পাপে দুঃখ। দুঃখ আর সুখ সব কিছু নিজেরই কর্মফল। ধর্ম পূণ্য ছাড়া কোন উপায় নেই৷ দান, ধর্ম যে করবে তারা যুগে যুগে সুখী হবে৷ এসময় তিনি পাপ কর্ম ত্যাগ করে সকলকে সুখের দিকে ধাবিত হওয়ারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বাবু নিখিল কুমার চাকমা। এ সময় অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকাল পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এই সময় নিখিল কুমার চাকমা কে বিহার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, ১৮ মাইল বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীরনন্দ চাকমা,সাধারণ সম্পাদক দিগন্ত চাকমা প্রমুখ।