অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ গড়তে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে–নিখিল কুমার চাকমা
॥ শিপ্রা দেবী ॥
অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ গড়তে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এক হয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। তিনি বলেন, পাহাড়ের প্রতি সম্প্রদায় যাতে নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ ভাবে পালন করতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এই ধারায় পার্বত্য অঞ্চলের সকল উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হতে প্রতিটি ধর্মীয় উপসানালয়, স্কুল, মাদ্রাসা, পালি কলেজ ও রাস্তা ঘাট সহ স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়ন করা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি বজায় থাকলে আগামীতে এই উন্নয়ন ধারা আরো গতি শীলতা পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নানিয়ারচর উপজেলার রত্নাংকুর বন বিহারের আয়োজনে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর দুই দিন ব্যাপী ২৪ তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসবে চীবর উৎসর্গের দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুদক্ষ দশ নানিয়ারচর জোন কমান্ডার লেফটেন্টে কর্ণেল এস এম রুবাইয়াত হোসাইন পি এস সি, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ইলিপন চাকমা, রাঙ্গামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সমিতির উদয়ন বড়–য়া সহ নাণিয়ারচর উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহারে আগমন ঘটলে তথন তাকে বিহারের ঐতিহ্যবাহী রাজ পোষাক পড়িয়ে হাতির পিঠে করে বিহারে প্রবেশ করান।
২০৭ ফুট উচ্চতার বৌদ্ধমুর্তি, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধমুর্তি দান, কল্পতরু দান, আকাষ প্রদীপ দান সহ বিভিন্ন দানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেশনা প্রদান করেন রত্নাংকুর বন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির।
২৮ অক্টোবর বিকালে বেইন ঘর উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দুই দিন ব্যাপী চীবর দানোৎসবের উদ্বোধন করা হয়। রাত ভর ২ শতাধিক চরকায় সুতা কাটা ও ৮৭ বেইনের মাধ্যমে চীবর তৈরী করা হয়। চীবরটি পরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদর হাতে উৎসর্গ করা হয়।