মা ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে শহর কেন্দ্রীক নয় গ্রাম পর্যায়ে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে —– অংসুই প্রু চৌধুরী
।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকার মা ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে লীন প্রকল্পের কর্ম তৎপরতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। তিনি বলেন পার্বত্য এলাকার এনজিও গুলোক শহর কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণ না করে গ্রাম দুর্গম পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিষয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ প্রদানের আহবান জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
২৬ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) লিডারশীপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) প্রকল্পের রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে ইউনিয়ন-মাল্টি ষ্টেকহোল্ডার সংযোগ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন করতে গিয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এ কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহ্বায়ক সবির কুমার চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমাসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ষ্টেকহোল্ডারগণ। লীন প্রকল্পের জেলা ট্রেইনিং অফিসার ডায়না চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা রাজীব দাস গুপ্ত। প্রকল্প বিষয়ে ব্রীফ করেন জেলা টেকনিক্যাল অফিসার ওবায়দুর রশিদ।
কর্মশালা উদ্বোধনকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম ত্বরাম্বিত করার লক্ষে মাল্টি ষ্টেকহোল্ডার প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রকল্পের কার্যক্রম এবং সচেতনতা মূলক বার্তাগুলি সহজ ভাষায় উপকারভোগীদের কাছে পৌছে দিতে হবে। প্রকল্পের তদারকি, অগ্রগতি বিষয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিকে মাসিক সভায় অবহিত করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এবং সরকারের গৃহীত পুষ্টি বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলি উপকারভোগীদের মাঝে পৌছে দিতে হবে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় মা ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য। তাই তিনি এনজিওগুলোকে শহরকেন্দ্রিক প্রকল্প হাতে না নিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানান। বিশেষ করে তিনি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে প্রকল্পের কার্যক্রম প্রণয়ন এবং চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কার্বারী, ইউপি সদস্যদের সাথে পরামর্শ নিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করার পরামর্শ রাখেন।