।। নানিয়ারচর প্রতিনিধি ।।
নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের বড়পুল পাড়ায় একটি সেতু পাল্টে দিতে পারে হাজার মানুষের জীবনযাত্রার মান। দীর্ঘ বছর পার হলেও কোন প্রতিষ্টানের চোখ পড়েনি নানিয়ারচর উপজেলার ছোট্টা এই সাঁকোটির উপর। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব অর্থায়নে সাঁকো তৈরী করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।
নানিয়ারচরের সাবেক্ষং ইউনিয়নের বড়পুল পাড়ায় দুইটি গ্রামের মাঝে কাপ্তাই হ্রদের শাখা চেঙ্গী নদী বয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে আছে গ্রামের আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়রা দীর্ঘবছর ধরে নিজস্ব অর্থায়নে মিলে তৈরি করে বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে তারা এখন পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের সাঁকোর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গেছে। দুই তিনটি বাঁশ দিয়ে একটি সরু সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোটি সরু হওয়ায় একজন করে পার হতে হয়। এতে এক পাশে কেউ সাঁকোতে উঠলে অপর পাশের লোকদের অপেক্ষা করতে হয়। তবে সাঁকো দিয়ে কোনোরকমে লোকজন পারাপার হলেও বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান নিয়ে কেউ চলাচল করতে পারছে না।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থাণীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে দু-তিনটি বাঁশ দিয়ে একটি সরু সাঁকো তৈরি করে চলাচল করা হয় এই সাঁকো দিয়ে কোনো রকমে লোকজন পার হতে পারলেও একটি সাইকেলও পারাপার করা যায় না।বয়স্ক,নারী, প্রতিবন্ধী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানায় তারা।