পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন —–মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। তিনি বলেন, পুষ্টি সর্ম্পকে জ্ঞান না থাকার কারণে দেশে অপুষ্টি নিয়ে শিশু জন্ম হচ্ছে। শুধু খাদ্য গ্রহণ করলেই চলবে না। কখন কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় খাদ্য গ্রহন করতে হবে তা জানা থাকলে, সহজেই পুষ্টির অভাব পুরণ করা সম্ভব। তাই পুষ্টি সর্ম্পকে ব্যাপকভাবে প্রচার চালাতে হবে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
বৃহষ্পতিবার (১৯ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় লিডারশীপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) এর সহায়তায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পুষ্টি কার্যক্রমে বাজেট বিশ্লেষণ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঞার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ, জেলা পরিষদ সদস্য এম এ জব্বার এবং দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কর্মশালায় জেলার ৫টি উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের কর্মকর্তা, ঐতিহ্যবাহী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পুষ্টির বিষয়টি আপাততভাবে সহজ বিষয় মনে হলেও, এটি একটি জটিল বিষয়। পুষ্টি বিষয় নিয়ে অনেক সভা সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন হয়ে থাকে। তারপরও দেশে অপুষ্টি নিয়ে শিশু জন্ম হচ্ছে। অপুষ্টি নিয়ে শিশু জন্মানো তখনই বন্ধ হবে, যখন গর্ভবতী মাকে সঠিক ভাবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো যাবে। জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পুষ্টি কার্যক্রমের বাজেট নানাভাবে করা সম্ভব। এর জন্য যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের উদ্যোগী হতে হবে।
উল্লেখ্য, লিডারশীপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, গুইমারা ও লক্ষীছড়ি উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে জনগণের মাঝে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।