॥ নন্দন দেবনাথ ॥
একজন সংগীত শিল্পী (বেহেলা বাদক) ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সন্দীপন দাশের মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না রাঙ্গামাটির মানুষ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলার কৃতি সন্তানকে হারিয়ে রাঙ্গামাটি ও রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের মানুষ শোকে আচ্ছন্ন। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা জগতে সন্দীপন দাশ রাঙ্গামাটির সাধারণ মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাসালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রাঙ্গামাটির যে কোন রোগী তার হাতে সেবা পেয়েছেন।
সন্দীপন দাশের মৃত্যতে প্রগতিশীর সংগঠন গুলোর মাঝেও শোকের ছায়া নেমে আসে। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সন্দীপন দাশ। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি ছাত্র ইউণিয়ন ও প্রগতিশীল আন্দোলনকে বেগবান করে তুলতেন। তিনি যে কোন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে বেহালায় সুর তুলে মানুষের হৃদয় কড়ে নিতেন। চট্টগ্রামের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরব ছিলেন সন্দীপন দাশের কন্ঠ। তার মৃত্যুতে প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবসময় সোচ্চার থাকা এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে চট্টগ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ডা. সন্দীপন দাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর, তিনি তাঁর মা-বাবা, চিকিৎসক স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, ও অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন।
এর আগে গতবছর করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সন্দীপন দাশ প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন। এরপর তার শারীরিক জটিলতা আরও বাড়ে বলে জানিয়েছেন সহকর্মীরা।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানিয়েছেন, কিডনি সমস্যা, শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি, মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকারিতা হ্রাস, ডায়াবেটিসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন সন্দীপন। গত রোববার পেটে ব্যাথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শুরুর পর মাল্টি অর্গান ফেইলিউরের কারণে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
চাকুরী জীবনে সন্দীপন দাশ রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম জুরাছড়ি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। জুরাছড়ি চাকুরী কালীন সময়ে উপজেলায় পাহাড়ী বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের মানুষের চিকিৎসা সেবায়ও মাধ্যমে নিজেকে নিয়োজিত করে তোলেন। জুরাছড়ি উপজেলার প্রাক্তন অনেকেই এখনো তাকে মনে রেখেছে।
রাঙ্গামাটির বিশিষ্টজন অঞ্জন কুমার দে বলেন, সন্দীপন দাশ আমার কাছে খুবই পরিচিত ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি রাঙ্গামাটির যে কোন রোগী তার কাছে পাঠালে তিনি বিনা খবরে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন। এছাড়াও সন্দীপন দাশ রাঙ্গামাটি থেকে আসছে শুনলে তাকে যে কোন ভাবে চিকিৎসা সেবা সহযোগিতা করতেন। এই কারণে তিনি রাঙ্গামাটির একজন প্রিয় চিকিৎসক ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কয়েকজন বন্ধ বলেন, প্রয়াত ডা. সন্দীপন দাশ ছিলেন জনদরদী চিকিৎসক, তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি অধিকাংশ সময় গরীব-অসহায় রোগীর কাছ থেকে কোন ফি নিতেন না। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি চিকিৎসা প্রত্যাশী কোন রোগীকে ফেরাতেন না। তিনি চিকিৎসা করতেন খুব নিবীড়ভাবে। তাঁর কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে তিনি রোগী নয়, নিজের পরিবারের সদস্যের মতো আপন করে দেখতেন। পথে পড়ে থাকা অপরিচিত অসুস্থ রোগীকে তিনি অসংখ্যবার নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, চিকিৎসা করেছেন। ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডা. সন্দ্বীপন চট্টগ্রামের সকল সময় প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরব ছিলেন। তিনি খুব ভালো ভায়োলিন বাজাতেন। ডা. সন্দীপনের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সকল মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহকর্মীরা জানিয়েছেন, সন্দীপন দাশ সাধারণত গরীব-অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। পথে-পথে ঘুরে ভাসমান অসুস্থ লোকজনকে চিকিৎসা দিতেন। আবার গুরুতর অসুস্থ কাউকে পেলে নিজের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। এমন অসংখ্য কাজের জন্য চট্টগ্রামে তিনি মানবিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
প্রয়াত ডা. সন্দ্বীপন দাশ ছিলেন জনদরদী চিকিৎসক, তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি অধিকাংশ সময় গরীব-অসহায় রোগীর কাছ থেকে কোন ফি নিতেন না। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি চিকিৎসা প্রত্যাশী কোন রোগীকে ফেরাতেন না। পথে পড়ে থাকা অপরিচিত অসুস্থ রোগীকে তিনি অসংখ্যবার নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, চিকিৎসা করেছেন। ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডা. সন্দ্বীপন চট্টগ্রামের সকল সময় প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরব ছিলেন। তিনি খুব ভালো ভায়োলিন বাজাতেন। ডা. সন্দীপনের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের সকল মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রয়াত ডা. সন্দ্বীপন অধিকাংশ সময় গরীব-অসহায় রোগীর কাছ থেকে কোন ফি নিতেন না। শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি চিকিৎসা প্রত্যাশী কোন রোগীকে ফেরাতেন না। ডা. সন্দ্বীপনের সহকর্মীরা জানান, এমন মানবিক মানুষ সচরাচর দেখা যায় না। তিনি চিকিৎসা করতেন খুব নিবীড়ভাবে। তাঁর কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে তিনি রোগী নয়, নিজের পরিবারের সদস্যের মতো আপন করে দেখতেন। পথে পড়ে থাকা অপরিচিত অসুস্থ রোগীকে তিনি অসংখ্যবার নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন, চিকিৎসা করেছেন।