রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বন বিভাগের ৫ হাজার চারা বিতরণ

রাঙ্গামাটি

জলবায়ু পরিবর্তন যেন আমাদের দেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া না পড়ে এই জন্য বনায়ন একটা অন্যতম উপাদানদীপংকর তালুকদার এমপি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

জলবায়ু পরিবর্তন যেন আমাদের দেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া না পড়ে এই জন্য বনায়ন একটা অন্যতম উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।

তিনি বলেন, আমরা যেন প্রকৃতিকে নিষ্টুর ভাবে নিধন না করি তার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রকৃতি বাঁচলে আমরা বাঁচবো। সুতরাং প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাই গাছ লাগানো, বনায়ন করা, এটা প্রকৃতিকে বাঁচানোর অন্যতম একটা প্রধান উপাদান।

সোমবার (১৬ আগষ্ট) সকালে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশব্যাপী ব্যাপক বনায়নের লক্ষ্যে চারা বিতরণ কর্সূচীরর অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের উদ্যোগে শহরের ভেদভেদিস্থ বন বিভাগের কার্য্যালয়ের সামনে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৫ হাজার চারা বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন বিভাগের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চারা বিতরণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপশ রঞ্জণ ঘোষ, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা প্রমূখ।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে কয়েক হাজার ছোট ছোট খাল ছিলো, ছোট ছোট ঝর্ণা ছিলো। এগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় গাছ কাটার ফলে এইসব খাল ও ঝর্ণা শুকিয়ে গিছে। আর এইসব ঝড়া ও ঝর্ণাগুলো জীবিত থাকার জন্য সব থেকে বড় প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে যে পাথর রয়েছে তা উত্তোলন করা যাবে না। আর আমাদের লোভের কারণে আমরা একদিকে গাছ কাটছি, ঠিক তেমনী করে আমরা ঝড়া ও ঝর্ণা থেকে পাথর উত্তোলন করছি। এতে করে প্রায় ২২ হাজারের মতো ছড়া ও ঝর্ণা আছে সেগুলোকে জীবিত করার জন্য ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে একটা সমিক্ষা করা হয়েছে এবং এই সমিক্ষার রিপোর্টে কি করে এইসব ছড়া ও ঝর্ণাগুলোকে বাঁচানো যাবে এবং পূর্ণজীবিত করা যাবে সেই জন্য একটা প্রতিবেদন তৈরী করে সারা বিশ্বের যে তহবিল ফান্ড সেখানে আবেদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এই বাজেট যদি আমরা পাই তা হলে মৃত ছড়া ও ঝর্ণাগুলো আছে সেগুলোকে আবারো পূর্ণজীবিত করতে সক্ষম হবো এবং এই জলবায়ুর উপরে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এটাকে আমরা আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো বলে আশা প্রকাশ করেন এমপি।

পরে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৫ হাজার বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।