জাতীয় শোক দিবসের রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের ভ্যার্চুয়াল সভা

রাঙ্গামাটি রাজনীতি

জাতির পিতার অস্তিত্ব যারা মুছে ফেলতে চেয়েছে তারাই আজ ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাচ্ছে —– ওবায়দুল কাদের

ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছে —— দীপংকর তালুকদার

॥ নন্দন দেবনাথ ॥

জাতির পিতার অস্তিত্ব যারা মুছে ফেলতে চেয়েছে তারাই আজ ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জাতির পিতার পরিবারের উপর বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে হত্যা করেও স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় শহীদ হয়েছেন আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতাকর্মী। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
১৫ আগষ্ট রবিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের ভ্যার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে সভায় রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, আঞ্চলিক পরিষদ সদসৗ ও সহ-সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনসুর আলী, বাঘাইছড়ি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুছাইন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল বারেক সরকার, সাধারণ সম্পাদক বাবু দাশ, জুরাছড়ি, রাজস্থলী, লংগদু, বরকল সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বিশ^াস করে না তারাই দেশের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। স্বাধীন এই বাংলাদেশের অর্জনের মধ্যে দিয়ে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা। বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেশের সকল জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনগন যদি এগিয়ে আসে তাহলে দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনেকধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দেশ এখন করোনার থাবায় জর্জড়িত। তার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত হাতে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারছে। দেশের জনগনকে করোনার থাবা থেকে মুক্ত করতে বিভিন্ন দেশ থেকে করোনার টিকা নিয়ে আসা হয়েছে। এখনো ফাইপ লাইনে কয়েক কোটি টিকা রয়েছে। দেশের জনগন সকলকে গণ টিকা প্রদান করতে আরো টিকা আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি জনগন এই টিকার আওতায় চলে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রতিটি হাসপাতালে ও ইউনিয়ন কমিউনিটি কেন্দ্রের চিকিৎসকদের মাধ্যমে জনগনকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। জনগন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা প্রদান করবে। তিনি বলেন, যারা টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে তারাই আজ টিকা নেয়ার জন্য দোঁড়ঝাপ করছে। তিনি বলেন, টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্র না করে জনগনকে টিকা দানে উদ্বুদ্ধ করে দেশকে শতভাগ টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সহযোগিতা করার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুরো জীবনটাই উৎসর্গ করেছিলেন বাঙ্গালীর মুক্তির জন্য, বাঙ্গালীর স্বাধিকারের জন্য, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। দেশের ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িত রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছে। কিন্তু আমাদের স্বাধীন তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তার কন্যার হাতে দেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।